শহিদুল্লাহ সরকার : সাভার উপজেলা বিরুলিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। তারুণ্যের প্রতীক আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী বিরুলিয়া ৯ নং ওয়ার্ডে নিরলস ভাবে মানুষের মাঝে উদীয়মান নেতা। তিনি দত্তপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা রাজপথের লড়াকু সৈনিক। শৈশব থেকে নেতৃত্ব দেবার মানসিকতা তাকে ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে বিরুলিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করেছে। ব্যাপক কর্মীর ভালোবাসা নিরলস প্রচেষ্টায় মূল্যায়নও আছে যথেষ্ট। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি সাংগঠনিক কাজে, দলের আস্থাভাজন হিসেবে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সবার মুখে মুখে একটাই কথা তারুণ্যের প্রতীক আনছার আলী। তিনি বলেন অতীতে অসহায় মানুষের পাশে থেকে আমি সাধ্যমতো মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি এ ব্যাপারে আপনারা অনেকটাই অবগত আছেন।
বর্তমানে মানুষের পাশে থেকে আমি মানুষকে সহযোগিতা ও সেবামুলক কাজ করে যাচ্ছি । কারণ আমি এই এলাকার সন্তান তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন বিরুলিয়ার ৯নং ওয়ার্ডের জনগণ আমার সঙ্গে থাকলে আমি নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। সভাপতি বলেন, ‘কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চার করে, আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। বর্তমানে বিরুলিয়া ইউনিয়নে নিম্ন আয়ের মানুষ নানা সীমাবদ্ধতার মাঝে দিনাতিপাত করছে। তারাও যাতে ঈদের আনন্দ হতে বঞ্চিত না হয় এবং ঈদোৎসবে শামিল হতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি ইউনিয়নের বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তিজীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন থাকা আবশ্যক। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ। ঈদ মোবারক।
আলোকিত/১৬/০৬/২০২৪/আকাশ