নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া। বিনয়ী, পরোপকারী, সদালাপী ও স্বশিক্ষিত কাউন্সিলর প্রথমে ২০১১ সালের ১২ জুন দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হন। অতঃপর দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অন্তর্ভূক্ত হলে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনেও পুনরায় জনগণ তাকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করে। ২০১১ সাল থেকে একটানা এলাকাবাসির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন বয়োবৃদ্ধ জননেতা মোতালেব মিয়া।
প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া বলেন, এলাকাবাসি যদি তাকে আগামী নির্বাচনে তাদের সেবা করার সুযোগ প্রদান করে তাহলে আগামী দিনগুলোতেও এলাকাবাসির পাশে থাকতে চাই।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে মোতালেব মিয়া বলেন, উক্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক । আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় প্রতিহিংসাপরায়ন মানুষ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমাকে নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে তারা এহেন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমি অপপ্রচারে ভীত নই। আমার উপর এলাকার জনগণের আস্থা রয়েছে; এটা আমি বিশ্বাস করি। আর আমি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানাই,তারা এসে সরেজমিন তদন্ত করে দেখুক আমার কী আছে আর কী নাই। আশাকরি অনুসন্ধানে এসে অভিযোগের ছিটেফোঁটাও বাস্তবে খুঁজে পাবে না।
রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। আমি হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নই। কখনো দল পরিবর্তন করিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফায়েদাবাদ ইউনিটের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বৃহত্তর ফায়দাবাদ ইউনিটের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। বৃহত্তর উত্তরা থানা জাতীয় শ্রমিকলীগ এর সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে দক্ষিণখান থানা জাতীয় শ্রমিকলীগ এর সভাপতি।
এলাকার নাগরিক সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এলাকার জনসাধারণ নির্বিঘ্নে সকল নাগরিক সেবা পেয়ে থাকে। চারিত্রিক সনদ, নাগরিক সনদ ও ওয়ারিশ সনদ এলাকার জনগণ বিনামূল্যে পেয়ে থাকে। জন্ম ও মৃত্যু সনদ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করে থাকে।
এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে মোতালেব মিয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থাকাকালে এলাকায় ঈদগা তৈরিসহ রাস্তা ঘাট উন্নয়নের কাজ করেছি। আমার ওয়ার্ডটি সাম্প্রতিককালে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। স্বাভাবিক কারনেই আমার এলাকাটি তুলনামুলকভাবে অনুন্নত। এমতাবস্থায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার পর সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এলাকার রাস্তা ঘাট উন্নয়নের কাজ করেছি। কিছু রাস্তা ঘাটের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তা ঘাট উন্নয়নের কিছু কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া, ব্যক্তিগতভাবে এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসায় দান অনুদান প্রদান করি। তাছাড়া, এলাকার সামাজিক অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদান, গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং গরিব কর্মহীনদের রিকশা প্রদানসহ আর্থিক সাহায্য করেন বলেন তিনি উল্লেখ করেন।
আলোকিত/২৯/০৫/২০২৪/আকাশ