আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন ও ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে তাইওয়ান। ২৩ মে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশনার মাধ্যমে নৌ এবং স্থলবাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছে স্ব-শাসিত এই দেশটি। স্ব-শাসিত এই দ্বীপটির চারপাশে চীনা সামরিক মহড়ার চলাকালীন এই নির্দেশ দিয়েছে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এপি এ খবর জানিয়েছে। চীনের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাইওয়ানের চারপাশে নৌবাহিনীর জাহাজ ও সামরিক উড়োজাহাজ নিয়ে মহড়া দেওয়া শুরু করেছে চীনের সেনাবাহিনী। দুই দিনের সামরিক মহড়া চালাবে চীন। কারণ দ্বীপটিকে চীনের জাতীয় ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে বেইজিং। তাইওয়ান প্রণালি ও দ্বীপের আশেপাশের অন্যান্য এলাকায় প্রায় প্রতিদিন নৌবাহিনীর জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠায় পিপলস লিবারেশন আর্মি। যাতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়া যারা ডি ফ্যাক্টো স্বাধীনতা চান তারা যেন ভয় পান।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের অযৌক্তিক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনও দ্বন্দ্ব চায় না তাইওয়ান। কিন্তু এটি থেকে সরেও আসবে না। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের সামরিক মহড়া চালানোর এই অজুহাত শুধু তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কাজ করে না, বরং এর আধিপত্যকে জাহির করে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে সোমবার তার উদ্বোধনী ভাষণে চীনকে সামরিক ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মূল ভূখণ্ডের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বকে উত্তেজনা বা উসকানি দেবেন না। তাইপেইয়ের দক্ষিণে তাওয়ুয়ানে একটি সামুদ্রিক ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় লাই বৃহস্পতিবার নাবিক ও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বলেন, বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ ও হুমকির মুখোমুখি হয়ে আমরা স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বজায় রাখব। লাই আরও বলেন, তাইওয়ানের বর্তমান অবস্থা বজায় রেখে চীনের সঙ্গে আলাপ চান তিনি। এদিকে, চীনপন্থি জাতীয়তাবাদী দলও (কেএমটি) বেইজিংয়ের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। অপ্রয়োজনীয় কৌশল বন্ধ করতে, তাইওয়ান প্রণালীতে সংঘাত এড়াতে এবং দুই পক্ষেই শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদীরা। পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে, তাইওয়ানের আশেপাশে স্থল, নৌবাহিনী ও বিমান মহড়ার উদ্দেশ্য পিএলএ ইউনিটের নৌবাহিনী ও বিমানের সক্ষমতা পরীক্ষা করা। এছাড়া লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা এবং যুদ্ধক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণের জয়ের জন্য যৌথ হামলার ক্ষমতা পরীক্ষা করছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ায় এক বক্তৃতায় চীনের সামরিক মহড়ার নিন্দা করার জন্য এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মেরিন কর্পস লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন স্ক্লেঙ্কা। যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় জাপানের শীর্ষ দূত বলেন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসনসহ মূল্যবোধ ও নীতিগুলো ভাগ করে নেয় জাপান ও তাইওয়ান। তাইওয়ান আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
আলোকিত প্রতিদিন /২৪ মে-২০২৪ /মওম