ভাসানচরে আলোচিত ক্লুলেস রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন,গ্রেপ্তার-৩

0
186
ভাসানচরে আলোচিত ক্লুলেস রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন গ্রেপ্তার-৩
ভাসানচরে আলোচিত ক্লুলেস রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন গ্রেপ্তার-৩
একেএম ফারুক হোসেন ঃ
ভাসানচরে রোহিঙ্গা সুলতান( ৫৫) হত্যাকাণ্ডের ৮ ঘন্টার মধ্যে ভাসানচর থানা পুলিশ ৩ সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। এরেই সাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র (দা) উদ্ধার করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা হত্যার কথা স্বীকার করে। এ বিষয়ে ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) কাওসার আলম ভুইয়া সাংবাদিকদের  একটি প্রেস রিলিজ দেন। থানা সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা সুলতান (৫৫), পিতা-মৃত আব্দুল আলী, ভাসানচরের ৭৮ নং ক্লাস্টার, রুম নং-ই-১১,১২ এফসিএন নং-২৮৫৭০২ ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩এর নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা নাগরিক হিসেবে বসবাস করছিলেন। ১১৬ নং ক্লাস্টারে সুলতান সবজি ও মাছ চাষ করতেন। গত ১৮ এপ্রিল সকাল ৬ টায় সুলতান তার  ক্লাস্টার হতে আবাদি জমি ও মাছ চাষের স্থানে যায়। দুপুরের খাবার নিয়ে সুলতানের ছেলে রোহিঙ্গা নূরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর পিতাকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন ক্লাস্টারগুলোতে খোঁজ নিতে থাকে। ব্যাপক খোঁজের পর ১১৬ নং ক্লাস্টারের ১২ নং রুমে রক্তাক্ত অবস্হায় সুলতানের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর ভাসানচর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য নোয়াখালী(২৫০) বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার বিষয়ে উল্লেখ করে মৃত সুলতানের স্ত্রী রোহিঙ্গা নূর কায়দা ভাসানচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। হত্যা মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর থেকে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম পিপিএম সর্বাত্বক অভিযানের নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর ভাসানচর থানার (ওসি) কাওসার আলম ও তাঁর সঙ্গীয় এস আই নূর হোসেন,এএসআই বেলালসহ পুলিশের একটি চৌকষ টীম ৮ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন। এবং হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ৩জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেন। আটককৃত আসামীদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করে ভাসানচর থানা পুলিশ। এর আগে সন্দেহভাজন  গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের পরিচয় প্রকাশ করে পুলিশ। হত্যায় অংশগ্রহণকারী আসামীরা হলেন, রোহিঙ্গা মোঃ জলিল (৪৯), পিতা-মৃত আব্দুস সালাম, মাতা-জহুরা খাতুন, ক্লাস্টার নং-৮২, রুম নং-এল-১২,১৩,১৪, এফসিএন নং-২৬৮৭৬৪, থানা-ভাসানচর, জেলা-নোয়াখালী, ওসমান গনি (২৪) পিতা-মোহাম্মদ হোছন, মাতা-তৈয়বা খাতুন,  ক্লাস্টার নং-৬৪, রুম নং- জে-১৪, এফসিএন নং-২৪৩১৬১, থানা-ভাসানচর, জেলা-নোয়াখালী, মোহাম্মদ হোছন (৫৬), পিতা-মৃত আব্দুল আলী, মাতা-মৃত রব বানু, ক্লাস্টার নং-৬৪, রুম নং-জে/১২, থানা-ভাসানচর, জেলা-নোয়াখালী। ধৃত আসামীরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে প্রাথমিক জবানবন্দি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ওসি কাওসার আলম।
আলোকিত প্রতিদিন /২০ এপ্রিল-২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here