পেকুয়ায় গাছ পাচারকারী ও পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান কাল হচ্ছে রেঞ্জ কর্মকর্তার 

0
173
পেকুয়ায় গাছ পাচারকারী ও পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান
পেকুয়ায় গাছ পাচারকারী ও পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম  দক্ষিণ বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ  কর্মকর্তার বিরূদ্ধে আবারো একজোট হচ্ছে বালু,গাছ ও পাহাড় খেকোরা।  বিগত দিন গুলোতে একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে গাছ,বালু ও পাহাড় খেকোদের চোখের ঘুম হারাম করে দেন। বিগত সময়ে সফল অভিযান চালিয়ে পেকুয়া উপজেলার আশ পাশের এলাকা থেকে আসা গর্জন, সেগুন সহ বিবিধ প্রজাতির গোল ও চিড়াইকৃত প্রায় ৪৫০০ ঘনফুট কাঠ জব্দ করা হয় এবং প্রায় ৫ লক্ষ ঘনফুট বালু জব্দ করে আইনত ব্যাবস্থা নেওয়া হয়।পাশাপাশি অবৈধ গাছ পরিবহন,বালু,পাহাড়ের মাটি কাটা সহ ইত্যাদি অপরাধে স্কেভটর সহ অর্ধ শতাধিক যানবাহন আটক করে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। বেশ কিছু দিন পুর্ব হতে বালুখেকো একটি সিন্ডিকেট জব্দকৃত বালু পাহাড় থেকে সরানোর অপচেষ্টা শুরু করে। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এসবে জড়িত।
যে সকল ব্যক্তি এসব অপরাধের সাথে জড়িত তাদের আসামী করে শতাধিক  বিভাগীয় মামলা ও দায়ের করেন তিনি ।গত মৌসুমে বারবাকিয়া রেঞ্জের সাঁড়াশি অভিযানে কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট,পাহাড়খেকো,ভুমিদস্যু সহ অবৈধ বালি পাচারাকারীরা একত্রিত হয়ে  এ মৌসুমে যেন নির্বিঘ্ন ভাবে তাদের অপরাধ কার্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে সে জন্য কৌশল পরিবর্তন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় গাছ,বালু ও পাহাড়খেকো সিন্ডিকেট নামে বেনামে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ নামা দাখিল করেছেন। তাকে সরাতে পারলে মধুখালীর বালু বের করে দুই কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা করে খাবে।
তাদের এই ভাগবাটোয়ারা প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রেঞ্জা কর্মকতা হাবিবুল হক।
সাংবাদিকদের  মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভূয়া সংবাদ পরিবেশন করিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা কে অন্যত্র বদলী বা চাকুরির ক্ষতি করার জন্য একটা চিহ্নিত মহল উঠেপড়ে লেগেছে।বাতাসে খবর ছড়িয়েছে উপর মহলের ইন্ধন আছে এই গভীর ষড়যন্ত্রে। এছাড়া বিভিন্ন ভাবে হুমিক প্রদর্শন করা হচ্ছে রেঞ্জ কর্মকর্তাকে। প্রশাসনের একটা পক্ষ তাদেরকে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সাপোর্ট দিচ্ছে। গোপন সূত্রে আরো জানায়, এমনকি সিন্ডিকেটের কাজে বাধা দিলে রেঞ্জ কর্মকতা,বিট কর্মকর্তা,জীবন নাশ সহ বনবিভাগের অস্তিত্ব  বিলিন করে দেওয়া হবে। যে কোন সময় রেঞ্জ  কর্মকতা হাবিবুল হককে শারীরিক ভাবে হামলা করতে পারে।
চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখানে আমাদের কারোও সাথে কোন রেশারেশি নাই। বালু প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আমারা আমাদের এ চেষ্টা । আমরা আমাদের মত চেষ্টা করছি জীববৈচিত্র্য রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার বালুগুলো যেন  কোন ভাবেই  নিলাম দিতে না পারে। আমরা কোর্টের পারমিশন এনে স্পটে  সেটা ডিসমিস করে ফেলব। যদি আমাদের কর্মকতাদের কেউ শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা বা ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আলোকিত প্রতিদিন / ১৭ এপ্রিল-২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here