সৈয়দ মোকাররম হোসেন হেমায়েত
মাদারীপুরের ডাসারে আজ শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে র্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ এর সভাপতিত্বে আজ শুক্রবার (১ লা মার্চ) ২০২৪ ইং তারিখে ডাসার উপজেলা চত্বরে দিবসটি পালন করা হয়। উপজেলা চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয় প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে, উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সৈয়দা লুভবনা(পপুলার লাইফ ইন্সুইরেন্স) কম্পানি লি: এর ডাসার উপজেলা ইনচার্জ । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জনাব মতিউর রহমান হাওলাদার যুগ্ম আহব্বায়ক ডাসার উপজেলা আওয়ামী, সদস্য গিয়াস উদ্দীন বলেন অনেক সময় দেখা যায় টাকা নিয়ে ঝামেলা বাজে আমরা গ্রামে অনেক সালিশি করেছি,টাকা উঠাতে এবং কোম্পানির লোকের পিছনে দৌড়াতে হয়। এ ঝামেলা অনেকটা কাটিয়ে এসেছে এখন বীমা কোম্পানিগুলো আরো সচেতন এবং ভোগান্তি না হতে হয় সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি । এসময় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক জনাব বাবু সহদেব চন্দ্র বাড়ৈ (দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি), ডাসার উপজেলা), উপস্থিত ছিলেন সৈয়দা ইসরাত ইমাম(পরিচালক পল্লী বিদ্যুৎ মাদারীপুর ৩, প্রধান শিক্ষক সনমান্দী উচ্চ বিদ্যালয়) আরও বিভিন্ন বীমা কোম্পানির পেশায় নিয়োজিত এবং এনজিও কর্মীরা। এ সময় উপস্থিত সৈয়দা লুবনা এবং বাবু সহদেব চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রথম চাকরিটি করেছিলেন বীমা কোম্পানিতে। বীমা কোম্পানিগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে আমাদের দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে, উল্লেখ্য কিছু দিক হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত এবং জীবন বীমা। সৈয়দা ইসরাত ইমাম বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বীমা ক্ষেত্রে খুবই আগানো তারা মানুষের জীবন বীমা এবং গাড়ির বীমা ক্ষেত্রে খুব সচেতন। ডাসারের বীমা কর্মী, সৈয়দা ফাহমিদা বলেন টাকার মাইর খাওয়ার মত কোন সুযোগ নেই, এখন বীমা কোম্পানিগুলো আগের থেকে অনেকটা সচেতন। তিনি অনুরোধ করেন উপস্থিতির মাধ্যমে তার সমাজের বীমার গুরুত্ব আরও বেড়ে উঠুক। আলোচনা সভার সভাপতি কানিজ আফরোজ বলেন, ১ লা মার্চ ২০২৪ বিমা দিবস,”করবো বীমা গরব দেশ-স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” আজকের আয়োজিত জাতীয় বীমা দিবসের, বীমা পলিসি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পলিসি আমাদের বীমা পলিসির প্রতি আরো সচেতন হতে হবে এবং গুরুত্ব বাড়াতে হবে। সঞ্চয় করা জরুরি ,তা না হলে আমরা আগাতে পারবো না, উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশই রেমিটেন্স এর উপরে নির্ভর। যে পরিবারের রেমিটেন্স যোদ্ধা আছে তারা যদি বীমার প্রতি আগ্রহী হয় তাহলে তাদের যেকোনো বিপদ-আপদে বীমা কোম্পানিগুলো থেকে সহায়তা নিতে পারে। আরো উল্লেখ করে বলেন, সরকারি বেসরকারি প্রফেশন বীমা সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত এখন অনলাইনেই সহজে ওয়েবসাইট থেকে বীমার ধারণা পাওয়া যায়। অ্যাপসের মাধ্যমে সহজেই ডিপোজিট করা সম্ভব এবং বর্তমান ব্যালেন্স সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানা যায়। ধন্যবাদ জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে এবং আহবান জানান উপস্থিত সকলকে বীমা সম্পর্কে সচেতনতার সাথে মানুষের দ্বারপ্রান্তে বীমা পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি