আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিদ্যুৎ না থাকায় ‘মৃত্যুপুরী’ হওয়ার পথে গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল

আরো খবর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিদুৎ না থাকায় মৃত্যুপুরী হওয়ার পথে রয়েছে ফিলিস্তিনের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতাল। হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা.ঘাসান আবু-সিত্তাহ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এই ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছেন। ডা.ঘাসান বলেন, ‘হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে। যদি ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ভেন্টিলেটর না চলে, গুরুতর আহত রোগীদের যদি অপারেশন না করা যায়, যদি ডায়ালিসিস মেশিন চালু না থাকে— তাহলে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে এখানে এসে মরা ছাড়া রোগীদের সামনে আর কোনো বিকল্প থাকবে না।’ ‘আল শিফা বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে এই হাসপাতাল মৃত্যুপুরীতে রূপ নেবে।’ গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত এবং ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। গাজার বিদ্যুৎ এবং পানির সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় আইএএফের বিমান অভিযানের পর ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণের কারণে গাজা এবং মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় মিসর। গাজার অন্যান্য সীমান্তপথ ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে থাকায় উপত্যকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জন্য এই সীমান্তপথটি ‘লাইফ লাইন’ নামেও পরিচিত। গাজার বাসিন্দাদের খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের চালান আসত এই সীমান্তপথ দিয়েই। প্রায় দু’সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যস্থতায় রাফাহ ক্রসিং দিয়ে খাদ্য, চিকিৎসা উপকরণ এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীবাহী ট্রাক ঢোকা শুরু করলেও জ্বালানি তেলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলের রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হয়, গাজায় জ্বালানি তেল প্রবেশ করতে দিলে তা হামাস চুরি করে নিজেদের কাজে লাগাবে । এদিকে জ্বালানি তেলের সরবরাহ না থাকায় গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। উপত্যকার প্রায় সব হাসপাতালেও চিকিৎসাসেবা প্রদান একরকম বন্ধ রয়েছে। ডা. ঘাসান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে দু’টি জেনারেটর ছিল। জ্বালানি তেলের অভাবে কয়েকদিন আগে একটি বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী দুই কিংবা তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয়টিও বন্ধ হয়ে যাবে।’

সূত্র : সিএনএন

আলোকিত প্রতিদিন / ৩ নভেম্বর ২৩/ মওম

- Advertisement -
- Advertisement -