আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
‘নিশিমুরা ধূমকেতু’৪৩৭ বছরে একবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। আর যখনই এটি পৃথিবীর কাছে আসে, তখন একে খালি চোখে দেখা যায়। এর জন্য প্রয়োজন হবে না কোনো টেলিস্কোপের। এমন উজ্জ্বল ধূমকেতুকে বলা হয় বৃহৎ ধূমকেতু। যা সচরাচর দেখা যায় না। তাই যারা আকাশের খবর রাখেন, তারা আগামীকাল অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর আকাশের দিকে চোখ রাখতে পারেন। মূলত,ধূমকেতুটি জ্যোতির্বিদ ‘হিডিও নিশিমুরা’র নামে নামকরণ করা হয়। এ ধূমকেতুর আবিষ্কার করেছিলেন এ জ্যোতির্বিদ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, একটি ধূমকেতু আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খালি চোখে আকাশে দেখা যাবে। এর নাম ‘নিশিমুরা’। চলতি বছরের ১১ আগস্ট, প্রথমবারের মতো এ ধূমকেতুর সন্ধান পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে দূরবীনের সাহায্যে দেখা যাচ্ছে ধূমকেতুটি। যদিও পৃথিবী থেকে এখনো অনেকটা দূরে আছে এটি। তবে যখন কাছে আসবে, তখন কোনো টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে না।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ‘নিশিমুরা ধূমকেতু’ শিগগিরই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে এবং এসময়ে এটি পৃথিবীর কাছাকাছিও আসবে। পরে তা চলে যাবে দূর মহাকাশে। এ ধূমকেতুর বৈজ্ঞানিক নাম সি/২০২৩-পি১। যা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসবে। এটি ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসা’সহ ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘নিশিমুরা ধূমকেতু’র কক্ষপথের সময়কাল ৪৩৭ বছর। এ ধূমকেতুটি আবার ৪৩৭ বছর পর পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে। যা দেখা যাবে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। রাত যত গভীর এবং অন্ধকার হবে, ‘নিশিমুরা ধূমকেতু’ তত দেখার সম্ভাবনা বাড়বে ।