বিবর্তন
সৈয়দ রনো
চিতায় পোড়ানো মরদেহের কালো ধোঁয়া কুণ্ডলী
পাকাতে পাকাতে দমকা হাওয়ার বিবর্তনে
মানস পটে ভেসে উঠে বয়স্ক অনুরাগ
কষ্টগুলো পাথর খণ্ড হয়ে ভেঙেছে বুকের পাঁজর
পৌষপার্বণে জটায়ুর জরাজীর্ণ উদম শরীরের
ভাঁজে ভাঁজে খেলা করে ঘোমটা দেওয়া শৈত্যপ্রবাহ
সময় গড়াতেই দেখি
খেমটা নাচের আদিম বর্বরতা
রাতের শরীরে জ্বলে ওঠা আত্মীক সম্পর্ক
সূর্যের তেজস্ক্রিয়তায় হারিয়ে খুঁজে নিজস্বতা
এ যেন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস
নিমগ্নতা ভাঙার চর্বিত চর্বণ
ঘুমন্ত অন্ধকারে মানুষের মাথায় বসে স্বপ্নের হাট
স্বাক্ষী আছে বাংলার কলঙ্কিত ইতিহাস
বাক্যের কুণ্ডলীতে বন্দি সীতার উপচে পড়া যৌবন
ঝঞ্জা তুফানেও হারায়নি সতীত্ব
কিন্তু দেশ সুবিধাভোগীদের কবলে পড়ে
হারিয়েছে সুবিধাবঞ্চিতদের মাতৃজঠর
শহরের আটপৌরে যাপিত জীবনের অযাচিত কলরব
আর মিহি জোছনায় কুল ভাঙা নদীর আছড়ে পড়া ঢেউ
কিছুই ভালো লাগে না আর
দিন দিন পাল্টে যায় গাণিতিক হিসেব
পুরোহিত বলেছে
জীবন সাগর কষ্টের হলেও ভাটির নাগাল পাওয়া মাঝি
কখনোই মনে রাখে না উজানীর গান
০৪-০৯-২০২৩ইং