শূন্যতা
সৈয়দ রনো
পৃথিবীর চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে দেখে হাদারাম
রাতের শরীরে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
দিনের আলোতে উদ্ভাসিত কল্পিত মুখ
একজোড়া ঝাপসা চোখ
দেখা আর না দেখার লুকোচুরিতে সব কিছু ফিকে হয়ে যায়
কাছে না পাবার বেদনায় চিৎকার করে বলে
স্মৃতির পাতা না উল্টানোই ভালো ছিল ঢের
কাম ক্রোধের মানবিক শরীর
আকাশটাকে বগলদাবা করে
হাঁটতে হাঁটতে ভাবে
আকাঙ্ক্ষাকে টুকরো টুকরো করে
চিতায় তুলবে একদিন
সবটুকু ভালোলাগা পানির দামে বিক্রি করবে খোলাবাজারে
ভেবেছিল বহুল ব্যবহৃত তুমি শব্দটি ব্যবহার করবে না আর
ঈশ্বরের কৃপায় সেই উলঙ্গ তুমি এখন পূর্ণাঙ্গ যৌবনা
সময়ে অসময়ে খিলখিলিয়ে হেসে উঠা রূপবতী চাঁদ
আর হাদারাম চোখের জ্যোতিতে পাওয়ার এ্যাডজাস্ট করা চশমার ফ্রেম
হৃদয়ে হৃদয় রাখার নিরুত্তাপে
খা খা যন্ত্রণাময় সাহারার মরুভূমি
প্রতিদিন খুবলে খুবলে খায় তামাম পৃথিবীর একাকিত্ব
কাপালিক সময় বিদ্রুপের হাসি হেসে করে মহাউল্লাস
মাটি আর আকাশের দুরত্ব বুঝে না মন
মহাশূন্যতায় সাইক্লোনের গতি কুন্ডলী পাকাতে পাকাতে
বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস
সব হারানো হাদারামের সে এক ভয়ার্ত আর্তনাদ।
আ প্র // সা // রহখ