মো. রবিউল ইসলাম:
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তালুক শাখাতী এলাকার খালিশা মনাতী গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এক মাদ্রাসার সহকারী সুপারের বাড়িতে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরদিকে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে কালীগন্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, ২৯ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো একই গ্রামের মৃত মজর উদ্দিনে ছেলে খাইরুজ্জামানের সাথে ওই উপজেলার সাখাতি জব্বারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা রুহুল আমিনের। এরেই জেরে শুক্রবার শেষ বিকেলে খাইরুজ্জামান দুলাল ও তার ২ ছেলে, মাহমুদুন্নবী ও তিতাস ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের বসতঃ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করতে থাকে। এসময় বাড়ির উঠানে থাকা একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, প্রায় ৭/৮ মাস আগে তার দখলীয় ৮১ শতক জমির মধ্যে ২৯ শতক জমির মালিকানা দাবীসহ জবর দখল করার পায়তারা করে বিবাদীগন। উক্ত বিরোধের কারণে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে তিনি বাদী হয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাটে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর অন্য নং- ১৩৫/২২। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত রায় না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীগনকে উক্ত জমিতে অনুপ্রবেশের জন্য নিষেধাজ্ঞার নোটিশ জারী করে। মামলা আদালতে চলমান থাকা অবস্থায় বিবাদীগন আদালতের আদেশ অমান্য করে ওই জমি জবর দখল করার চেষ্টাসহ তাকে মারপিট করায় তিনি বিবাদীগনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ২৪৯/২৩, তারিখ- ১২/০৭/২০১৩ ইং। আদালত থেকে মামলায় বিবাদীগনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ২৮/০৭/২০২৩ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে বিবাদীদের নোটিশ প্রদান করে। বিবাদীগন নোটিশ পাওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন বিকেল অনুমানিক ৪টার দিকে বিবাদীগন লাঠি সোটা, লোহার রড, শাবল হাতে নিয়ে তার বসত বাড়ীর বাহিরের টিনের গেট ভাংচুর করে এবং বসত বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের স্টিলের ২টি দরজা ও ২টি জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় বাড়ির উঠানে থাকা তার ডিসকভার মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করা হয়। এমন ঘটনার প্রতিবাদ করলে, খাইরুজ্জামান দুলাল ও তার ২ ছেলে, মাহমুদুন্নবী ও তিতাস ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিবাদীগন ওই মাদ্রাসা শিক্ষক ও তার পরিবারের লোকজনদের দা, কুড়াল দিয়ে কোপিয়ে খুন জখম করবে মর্মে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। পরে সোরগোল শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে খায়রুজ্জামান দুলাল ও তার ২ ছেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ বিষয়ে খায়রুজ্জামান দুলাল (৪৩) ও তার ২ ছেলে মাহমুদুন্নবী ও তিতাসের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন ওই মাদ্রাসা সংলগ্ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মানববন্ধনে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০জুলাই ২৩/ এসবি

