সৈয়দ রনো
খানিকটা আত্মবিশ্বাস হাতের মুঠোয় নিয়ে
ভেঙে যাওয়া মাটির পুতুলের মতো
টুকরো টুকরো মনকে জোড়াতালি দেয় সখিনা
ক্ষুধার জ্বালায় নেতিয়ে পড়া যৌবন খোপায় গুঁজে
হন্যেহয়ে খুঁজে নিখোঁজ ভাতের মাড়
দুপুরের একপশলা রোদ গুমোট হাওয়ায় ভর করে
উড়ে এসে ভিজিয়ে দেয় কামার্ত শরীর
কালের সাক্ষী হয়ে পাশে চিৎ হয়ে পড়ে থাকে
নির্লজ্জ সময়
গোলাপ রাঙা ঠোঁটের ভাঁজে
লুকিয়ে থাকা মুক্তোর মতো চকচকে দাঁত
আর কণ্ঠনালীর গহব্বরে ইচ্ছে স্বাধীন খেলা করে
অনুচ্চারিত শব্দ,যুথবদ্ধ কাঙ্খা
যুগলবন্দী চোখের পাপড়ির ফাঁকে ধ্রুপদী কষ্টেরা
আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো
খসে পড়ে জমাট বাঁধে অসংখ্য কঙ্কাল
অনুভূতির আরশিতে হেলান দিয়ে
গাল ফুলিয়ে কেঁদে বলে
বাস্তবতার কষ্ট আর দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে
এ কিসের বেঁচে থাকা
উলঙ্গ কানের কার্ণিশে আচানক বেজে ওঠে
রেকডিং করা গগনবিদারী আত্মচিৎকার
আর ডাহুকের ডাক
একদল হুতুমপেঁচা মরা গরুর মাংস খাওয়া
শকুনের মতো ঠুকরে ঠুকরে খায়
চুলের খোপায় পেঁচিয়ে রাখা ভরা যৌবন
অতঃপর কূল ভাঙ্গা নদীর স্রোতে ভেসে যায়
সখিনার দেহ।
আ প্র // সা // রহখ