সাহিত্য ডেস্ক:
পৃথিবীর চোখে তোমাকে দেখি
নয়ন ভরা স্বপনে
হিমশীতল মায়াবী চোখে
নির্লজ্জ নির্জনে
মিটেও মিটে না সাধ
কোলটা মনের তারুণ্যে
আকাশটা বগলদাবা করে
হাঁটতে হাঁটতে ভাবি
একেই বলে বাধভাঙ্গা সময়
কমবে হাঁটার দুরত্ব
আক্ষরিক অর্থে কমে না কিছু
বাড়ে আবেগের জ্বালা
আকাঙ্ক্ষার অসহ্য দহনকে
কাঠ চিড়ানো মেশিনে তুলে
ফালাফালা করবো একদিন
ইদানিং চোখের দুষ্টমিটা কমেছে অনেক
পাওয়ার এ্যাডজাস্ট করে
চশমার গ্লাসটা বদলে নিয়ে দেখি
তুমি মণি-মুক্তার বিচ্ছুরিত আলো
ধবধবে সুন্দরের গায়ে
পড়েনি বয়সের ছাপ
হৃদয়ে হৃদয় রাখার উষ্ণতা
মিলানোর ব্যর্থ চেষ্টার পর
না মেলার ভঙ্গুর স্বপ্ন
ধূসর সাহারার মরুভূমি
বয়সি মানুষের একাকিত্ব
শৈত্য প্রবাহে কাঁপন ধরা
হাড় মাংস একাকার হওয়া কৃষ্ণসাগর
জানি শূন্যতার মাঝেই পূর্ণতা
আঠারো হাজার মাখলুকাতও জানে
দীর্ঘশ্বাসগুলো কুণ্ডলী পাকাতে পাকাতে
সৃষ্টি হয় মহাশূন্যতা
এরপর দিন দিন বাড়তে থাকে
মাটি ও আকাশের দুরত্ব
এপি // রহখ