অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবী:
আমাদের কলম: আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করে তাকে প্রকাশ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ, এবং তাকে ভাব প্রকাশের শিক্ষা দিয়েছেন’। (সূরা আর রহমান ৩-৪)। কোন কিছু প্রকাশের জন্য প্রয়োজন ভাষার। দুনিয়ার সকল ভাষাও আল্লাহর সৃষ্টি। বলা হয়ে থাকে আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি কলম। তিনি বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে’- (সূরা রুম, আয়াত ৩০/৩২)। ভাষার মাধ্যমে ভাবকে ধরে রাখার জন্যে লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর মানুষ লেখার ধারণা লাভ করে আসমানী কিতাব ও সহিফা থেকে। লেখার মাধ্যম হচ্ছে কলম। কলম দিয়েই লেখা হয় বই-পুস্তক। এই কলমও পরম স্রষ্টার সৃষ্টি। তিনি বলেছেন, ‘নুন- শপথ কলমের এবং তারা যা লিপিবদ্ধ করে তার’- (সুরা ক্বালাম, ৬৮/১)। তিনি আরো বলেন, ‘তিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানতো না’ (সূরা আলাক, ৯৬/৪-৫)। এই না জানা বিষয় পৃথিবীকে জানাবার জন্য আল্লাহ মানুষের কাছে আসমানী সংবাদ পাঠান। ইসলামী পরিভাষায় রিসালাত বা ওহী। নবীরা এ সংবাদ পেতেন। এঁরা রাসুল। বহুবচনে রূসূল। সাংবাদিক বা লেখকগণ আল্লাহ এবং রাসূলের প্রতিনিধি। পৃথিবীতে তাঁদের অনেক দায়িত্ব। সাংবাদিক সবাই হতে পারেন না। বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিকে স্রষ্টা নির্বাচন করেন। মজার তথ্য হলো, আরবিতে আসমানী পুস্তিকাকে বলা হয় ‘সাহিফা’, আর সাংবাদিককে বলা হয় সাহাফি। এই নামকরণ থেকে লেখক এবং সাংবাদিকদের মর্যাদা উচ্চতায় সমাসীন হল। সাংবাদিকের উচিত এই নাম নিয়ে গর্ব করা। এই নামের মর্যাদা রক্ষা করা। সাংবাদিকের কলম শেষ বিচারে তাঁর পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াবে। কারণ তাঁরা মানুষের হাসি বা কান্নার কার। তাদের কলম যেন বিনা কারণে কারো কান্নার কারন না হয়।
আমার সাংবাদিকতা: ব্যাপক অর্থে আমি বড় কোনো সাংবাদিক নই। সাংবাদিকতা আমার পেশা ছিল না। নেশা ছিল। এর জন্য আমি অনেক সময় দিতাম। এখানে সেখানে ঘুরে ঘুরে সংবাদ সংগ্রহ করতাম। প্রশাসন এবং পলিটিশিয়ান থেকে লাঞ্ছনাও পেয়েছি কিছুটা। আমি ছোট বড় কিছু দৈনিকে সাংবাদিকতা করেছি। সাহিত্যপাতা দেখাশোনা করছি। গ্রামগঞ্জ/ উপজেলা থেকে জাতির স্বার্থে অনেক সংবাদ দিয়েছি। চট্টগ্রামের বাইরে পত্রিকাতেও কাজ করেছি। লেখালেখি করেছি। এলাকায় সাংবাদিক হিসেবেও কিছুরা পরিচয় আছে। লন্ডনে বিভিন্ন পত্রিকা ও মেগাজিনে লেখালেখি করি এবং করছি। ‘কলম একাডেমি লন্ডন’ এর ব্যানারে বিশ্বময় সংগঠন করে লেখকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৯ দাবি এবং সংগঠনের ১৯ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছি। বলাবাহুল্য, আমরা সাহিত্যের নামে সমাজ সেবা করি। সমাজ সেবার মাধ্যমে কাব্যময় সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি। লেখক অধিকার সহ ‘লেখক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। এর জন্য আমরা দেশে-বিদেশে, গ্রামে-গঞ্জে সভা-সেমিনার করছি। এই বিষয়গুলির সাথে আমার সম্পর্ক প্রতি মিনিটের। যার কারণে লেখক ও সাংবাদিকতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ জানার বুঝার ও শেখার সুযোগ হয়। ‘কলম একাডেমি লন্ডন’ এর ব্যানারে ‘কলম সাংবাদিক ইউনিট’ নামে আমাদের একটি গ্রুপ আছে। তাঁদের মাধ্যমেও দেশ ও এবং বিশ্বের কথাবার্তা আমরা নিয়মিত পাই। আপনি চাইলে এর সদস্য হতে পারেন।
লেখক ও সাংবাদিক: একজন লেখকও সাংবাদিক। কবি ছন্দের মাধ্যমে বিশ্বের কথা বলেন। লেখক বলেন প্রবন্ধের মাধ্যমে, সাংবাদিকেরা সরাসরি বলেন। তাঁরা জানবাজি রেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অনেক কষ্ট করে, ত্যাগ স্বীকার করে, জেল-জুলুম সহ্য করে সত্যকথা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন-এ হলো পার্থক্য। অর্থাৎ ঘুরে ফিরে সবাই সমাজ এবং সাহিত্যের জন্য, মানবতার জন্য কাজ করেন। সমাজসেবা ও মানবতা বলতে আমরা দৃশ্যত সুন্দর কিছু বুঝি। আমরা বুঝি তাঁরা সমাজের কল্যাণকামী। মানুষের বন্ধু। তাহলে বলবো প্রায় প্রতিটি বিবেক সম্পন্ন লেখক ও সাহিত্যিক সাংবাদিক। এই অর্থে যাঁরা কলম ধরেন তাঁরা সাংবাদিক। ব্যবহৃত অর্থে, প্রাতিষ্ঠানিক বিচারে ট্রেনিং থাকলে, পরিচয়-পত্র থাকলে, নিয়মিত বা অনিয়মিত রিপোর্টিং করলে বা বিষয়টি তাঁর পেশা হলে আমরা তাঁকে সাংবাদিক হিসেবে চিনি-সেটা অন্য কথা। আমি বৃহত্তর অর্থে সাংবাদিকতার ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করছিলাম । মানুষ স্রষ্টার প্রতিনিধি। লেখক ও সাংবাদিকেরা সৃষ্টির প্রতিনিধি। তাঁরা সমাজের চক্ষু। জাতির বিবেক। তাঁরা চাইলে সমাজ গড়তে পারেন। চাইলে ভাঙ্গতে পারেন। সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। অথবা অন্যায়ভাবে লিখে, ভুল তথ্য দিয়ে ‘হলুদ সাংবাদিকতার’ মাধ্যমে সমাজে অন্যায় অবিচারের চাষাবাদ করতে পারেন। এক বিরাট দায়িত্ব নিয়ে তাঁরা মাঠে আছেন। এ বিষয়টি প্রতিটি লেখক ও সাংবাদিকের মনে রাখা উচিত।
ধর্ম এবং নৈতিক বিচারে সাংবাদিকতা: হাদিসে রাসুল (স:) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের কবিরা গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না? (কথাটি তিনি তিনবার বলেন)। উত্তরে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.), বলুন। তারপর নবীজি বলেন, (তা হলো) আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া, (কথাগুলো বলার সময় নবীজি হেলান দিয়ে বসেছিলেন। অতঃপর সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন) মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া (হচ্ছে কবিরা গুনাহ)। নবীজি কথাগুলো বারবার বলছিলেন। এ সময় সাহাবাগণ মনে মনে বলছিলেন, হায়! যদি তিনি চুপ হতেন। (বুখারি ও মুসলিম)। সাংবাদিকরা হবেন সবার বন্ধু। তাঁরা কারও পক্ষের বা বিপক্ষের নন। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বা লোভের বশবর্তী হয়ে তাঁরা অন্যায়কে সমর্থন করবেন না। ইসলামে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাত দল ধর্ম দেখে রিপোর্ট লেখা যাবে না। রিপোর্ট লেখা হবে সত্যের উপর। সংবাদ সংগ্রহের সময় চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। অবিশ্বাস্য কোনও ব্যক্তি থেকে সংবাদ গ্রহণ করা উচিত নয়। একদা ইমাম বুখারী (র) হাদিস সংগ্রহের জন্য অনেক পরিশ্রম করে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছান। কিন্তু লোকটিকে ঘোড়ার সাথে প্রতারণা করতে দেখেন। তিনি তার থেকে হাদিস সংগ্রহ না করেই ফিরে আসেন। কী সুন্দর আদর্শ! যারা ঘোড়ার সাথে প্রতারনা করতে পারে, সে মানুষের সাথে করবে। সে ভিন্ন দল বা ধর্মের সাথে প্রতারণা করবে। মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবে- এটাই স্বাভাবিক; যা বর্তমান বিশ্বে হচ্ছে। বর্তমান মিডিয়া সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে দেশে দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ, হত্যাকাণ্ডে উৎসাহ যোগাচ্ছে। নিরীহ মানুষ বা নিরহ দেশের উপর জুলুম শুরু করেছে। দখল করা হচ্ছে দেশ। নিরপরাধ মানুষকে গুম খুন করা হচ্ছে। বিনা অপরাধে, বিনা প্রমাণে সমাজের ভালো মানুষগুলোকে যুগ যুগ ধরে বন্দি করে রাখা হচ্ছে। যে সব সাংবাদিক মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তার জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। আদালত মাঝেমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আপনার মিথ্যা বা দলীয় সংবাদ যদি কারো দুঃখ-কষ্ট কান্নার কারন হয়, কোন পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়, আপনার সংবাদের কারণে কেউ যদি তার মা-বাবা ভাই-বোনকে হারায়, তাদের বুকজ্বলা সমস্ত গজব কাঁধে নিয়ে আপনাকে কেয়ামতের ময়দানে উঠতে হবে। কখনো শোনা কথা প্রচার করা যাবে না। কান কথায় শয়তান থাকে। সূরা হুজুরাতের ৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেন, “হে মুমিনগণ! যদি কোনো পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হতে হয়”। কী পরিস্কার আদেশ-উপদেশ ইসলামের, যা এ সমাজের জন্য প্রয়োজন ছিল। সঠিক সংবাদ পরিবেশিত হলে বিশ্ব অনেকটা শান্ত হয়ে যেতো। যুদ্ধ-বিগ্রহ হতো না।হাদিসে আছে, কোনো ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনলো তা যাচাই বাছাই ছাড়াই বর্ণনা করলো (আবু দাউদ)। হাদীস থেকে প্রমাণিত হলো, আমরা যা শুনি তা এখানে সেখানে বলা যাবে না। বিনা বিচারে গ্রহণ করা যাবে না। বিষয়টি কুরআন আরও স্পষ্ট করেছে। এরশাদ হয়েছে, “আর যে বিষয় তোমার জানা নেই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় চোখ, কান ও অন্তকরণ এদের প্রতিটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে”। (সূরা বনি ইসরাঈল : ৩৬)।নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের ব্যাপারে কুরআনের সূরা আনআমের ১৫২ নম্বরে আছে,”আর যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ইনসাফ করো”। আল্লাহ আরো বলেন, “হে ইমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো”- (সুরা আহজাব: ৭০)। এখানে সত্য ও প্রতিষ্ঠিত সংবাদ পরিবেশনের কথা বলা হচ্ছে। কারণ, মিথ্যা বলা মহাপাপ। বুদ্ধ ধর্মের পঞ্চশীলের একশীল মিথ্যা না বলা। হিন্দুশাস্ত্রেও মিথ্যা বলা পাপ। হিন্দুশাস্ত্র পাপকে তিন ভাগ করে নাম দিয়েছে ত্রিপাপ। যেমন-অনুপাতক, উপপাতক ও মহাপাতক বা মহাপাপ বা ঘোরপাপ। ‘অনুপাতক’ শব্দটির গভীরে মহাপাতকের সাদৃশ পাপই অনুপাপ। মিথ্যা কথা, মিথ্যা সাক্ষ্য, প্রতারণা, গচ্ছিত দ্রব্য দখল, ভূমি দখল, পরের স্ত্রী সঙ্গে সহবাস, বেদ ভুলে যাওয়া, বন্ধুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ও মদপান এ পাপের অন্তর্গত। এখানে মিথ্যা কথা বলাকে মহাপাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আছে বুদ্ধের পঞ্চশীলের পরস্ত্রীর গমনের কথা। ধর্মের আলোকেও প্রমাণিত হলো মিথ্যা কথা বলা, হলুদ সাংবাদিকতা করা গ্রহণযোগ্য নয়। মহাপাপ। বিশ্বের কিছু কিছু দেশে বা কিছু কিছু মিডিয়া প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বা কোনো সাংবাদিক নিজের দল ধর্মকে ভালোবাসতে গিয়ে আরেকটি দলকে কটাক্ষ করেন। উস্কানিমূলক শব্দ ব্যবহার করেন, যা কোন ধর্মে স্বীকৃত নয়। গ্রহণযোগ্য নয় ভালো মানুষের সমাজে। সূরা বনী ইসরাঈলের ৫৩ নম্বরে আছে- “আর আমার বান্দাদেরকে বলো, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি সুন্দর”। অসুন্দর কথা সাংবাদিকগণ লিখবেন না। অসুন্দর নামে কাউকে ডাকবেন ন।
সাংবাদিকগণ সমাজের চোখ:
আমরা বলেছি, সাংবাদিক সমাজের বিবেক। তাঁরা কোনো দল বা ব্যক্তির নন। তাঁরা যখন কোন সংবাদ পরিবেশন করবেন, তখন কোন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করবেন না। কোন দল ধর্মের প্রতি ক্ষোভ বা ভালোবাসা থাকবে না। তাঁরা সমাজের চিকিৎসক। ক্যান্সার হলেই অপারেশন করবেন। রোগীর মুখ দেখে চিকিৎসা করা থেকে বিরত থাকবেন না। তাঁরা সমাজের চক্ষু। চোখ বুক খোলা রেখে সংবাদ পরিবেশন করবেন। তাঁরা নিরপেক্ষ হবেন। তাঁরা কখনো পক্ষপাতিত্ব করবেন না। মানুষের, সমাজের, জাতির ক্ষতির কারণ হবেন না।
জাতি গঠনে ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকগণ ভূমিকা রাখবেন। তবে দেশের মান- সম্মান, পতাকা ও ভূখণ্ড রক্ষার্থে সতর্কতার সহিত সত্য সংবাদ পরিবেশন করবেন।সাংবাদিকগণ রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। স্তম্ভ বা পিলার ছাড়া যেমন বিল্ডিং টিকে না, ঠিক তেমনি সাংঘাতিক সাংবাদিকগণ পৃথিবী ধ্বংসের কারন। আমরা দেখেছ, পৃথিবীতে যত যুদ্ধ-বিগ্রহ হয়েছে, তার জন্য অনেকটা মিডিয়া দায়ী। আগ্রাসী রাষ্ট্র আগে মিডিয়াকে ব্যবহার করে এমন সব সংবাদ প্রচার করে বা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যাতে যুদ্ধটা জায়েজ বা হালাল করা যায়।
সাংবাদিকগণ সৃষ্টি সুন্দরের পায়রা।
অন্যায় অসুন্দর অসত্যের শকুন।
তাঁদের কোন রং নেই। হলুদ সাংবাদিক, সাদা সাংবাদিক, কালো সাংবাদিক, লাল নীল সাংবাদিক বলতে কোন বর্ণ থাকবে না। রিপোর্ট করার সময় দল, ধর্ম, সম্প্রদায়, আঞ্চলিকতা প্রাধান্য পাবে না। তাঁরা মানুষ সাংবাদিক। তাঁরা জাতির বিবেক। জাতির চক্ষু। এ কথা তো সত্য যে, সাংবাদিকগণ কোনো-না-কোনো পরিবারের ছেলেমেয়ে। তাঁদের মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী আছে। তাঁরা সমাজের একজন। পতাকার পাহারাদার। সীমান্তের সৈনিক। গণতন্ত্রের দিশারী। মানবতন্ত্রের পিতা। আসুন, আমরা সমাজে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য লেখালেখি করি। সাংবাদিকতা করি। এভাবে আমরা দুজাহানে পেয়ে যেতে পারি “অক্ষরে অমরতা।
লেখক: সহ-সভাপতি বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ইন ইউকে। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক- ‘কলম একাডেমি লন্ডন।