সকাল ৯:৩৬ | রবিবার | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি

সকাল ৯:৩৬ | রবিবার | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি

আবারও প্রকাশ্যে ইমরান খান-সেনাবাহিনীর বিরোধ

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গত ৯ মে গ্রেপ্তার করে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স। এ গ্রেপ্তারের সঙ্গে ‘সেনাবাহিনীর হাত আছে’ এমন সন্দেহে সেদিন ইমরানের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরদপ্তর এবং লাহোরে এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং ভাঙচুর করেন।

ওইদিন সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে যারা হামলা চালিয়েছিলেন তাদের সামরিক আইনে বিচার করার হুমকি দিয়েছেন সেনাপ্রধান অসিম মুনির। ১৫ মে সোমবার কর্পস কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন হুমকি দেন তিনি। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের ভেতরে ভেতরে যে বিরোধ চলছিল, সেনাপ্রধানের এমন হুমকিতে এখন এটি প্রকাশ্যেই চলে এলো। কর্পস কমান্ডারদের সঙ্গে জেনারেল অসিম মুনিরের বৈঠক শেষে একটি বিবৃতি দেয় সেনাবাহিনী। ওই বিবৃতিতে হুমকির সুরে বলা বলা হয়েছে, ‘কর্পস কমান্ডার ফোরাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সামরিক অবকাঠামোতে যে কোনো কারণে কোনো হামলা হলে হামলাকারী, আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আর কোনো সংযম প্রদর্শন করা হবে না।’ ‘কর্পস কমান্ডার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামরিক অবকাঠামো, সেনা/যন্ত্রাংশের ওপর এ ধরনের হীন হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সামরিক আইন, অফিসিয়াল সিক্রেট আইন এবং পাকিস্তানের সাধারণ আইনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

পাক সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি শক্তি সেনা-সাধারণ মানুষ এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব প্রচেষ্টা কঠোরতার সঙ্গে দমন করা হবে। এছাড়াও সেনাবাহিনী প্রত্যাশা করে সব রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি ঐক্যমতে পৌঁছাবে।তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা চালানোর বিষয়টিকে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে এসব চক্রান্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জাতিকে বলতে চাই, আপনাদের এ ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুর্বৃত্তদের অস্ত্রসহ আন্দোলনের ভেতর ঢোকানো হয়েছিল এবং তারাই এই আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছে। এ নিয়ে আমাদের কাছে ভিডিওসহ প্রমাণ আছে।’

- Advertisement -

সূত্র: দ্য ডন

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ মে -২০২৩/মওম

- Advertisement -
- Advertisement -

সর্বশেষ