আলোকিত ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ন্যাবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার (১২ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে উপস্থিত হলে তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ভাবে তিনি কথা বলেন। এ সময় ইমরান খান বলেন গ্রেপ্তারের পর ন্যাব অফিসে তাকে ভালোভাবে রাখা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তারের সময় আমার মাথায় আঘাত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেননি। এজন্য ন্যাবের টিমকে তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। পরে তারা ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়।
দেশে সহিংস বিক্ষোভের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “যা কিছু ঘটেছে তা আমি কীভাবে থামাতে পারতাম? আমি আগেই বলেছিলাম যে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া হবে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন আমাকে গ্রেপ্তার হয়েছে তখন আমি সহিংসতার জন্য কীভাবে দায়ী হতে পারি।
ইন্ডিপেনডেন্ট উর্দুর টুইটার পেইজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ইমরান খান বলেন, হাইকোর্টে আমি বসা ছিলাম। আমাকে গ্রেপ্তার করার কোনো কারণ ছিল না। আমাকে অপহরণ করা হয়েছে।
তিনি জানতে চেয়ে বলেন, আমাকে জেলে নেওয়ার আগে তারা ওয়ারেস্ট দেখায়। এটা একটা জঙলি আইন। যেমনটা সেনাবাহিনী করে থাকে। কারণ দেশে পুলিশ ও আইন রয়েছে। তার কোনো কিছুই অনুসরণ করা হয়নি।
ইমরান খান বলেন, “দেশে জঙ্গলের আইন চালু হয়েছে। মনে হচ্ছে যেন সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।“
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, গতকাল যখন আদালতে পৌঁছায় তখন শুনি ৪০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অথচ আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে ইসলামাবাদের হাইকোর্টে দুটি মামলায় জামিন নিতে যান ইমরান খান। এ সময় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে রেঞ্জার্স বাহিনী। পরে এ গ্রেপ্তারের সমালোচনা করেন দেশটির প্রধান বিচারপতি।
খ.র