ক্রীড়া ডেস্ক:
টানা দুই ম্যাচে টস হারল বাংলাদেশ। আর দুটিতেই শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে দুপুর ২টায়। যদিও চট্টগ্রামে এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তাই খেলা মাঠে গড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
২৯ মার্চ বুধবার সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, একটি পরিবর্তন এনেছে আয়ারল্যান্ড। ক্রেইগ ইয়াংয়ের জায়গায় খেলছেন ফিওন হ্যান্ড।
ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও অদম্য শক্তি হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ইতোমধ্যে এগিয়ে রয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
ভক্ত এবং সমর্থকদের মধ্যে সে অর্থে প্রাণচাঞ্চল্য নেই। নেই কোন বাড়তি আবেগ-উত্তেজনাও। সবাই ধরেই নিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ওযানডের মত টি-টোয়েন্টিতেও পেরে উঠবে না আয়ারল্যান্ড।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মত আয়ারল্যান্ডকেও ‘ধবলধোলাই’ করবে সাকিবের দল। সেটাতো আর অবাস্তব চিন্তা নয়।
ইংলিশদের ৩-০‘তে হারিয়ে ‘বাংলাওয়াশ’ করার পর শক্তি এবং সামর্থ্যে বহুদূর পিছিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় এবং ধবলধোলাই করাইতো স্বাভাবিক।
মনে করা হচ্ছে আয়ারল্যান্ডকেও টি টোয়েন্টিতে ‘বাংলাওয়াশ করবে সাকিবের দল। এখন সিরিজ যেহেতু ৩ ম্যাচের, তাই হোয়াইটওয়াশের আগে প্রথম কাজ হচ্ছে সিরিজ নিজেদের করে নেয়া। আজ ২৯ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তখন ৩১ মার্চ শেষ ম্যাচটি হবে টাইগারদের পল স্টার্লিংয়ের আইরিশ বাহিনীকে বাংলাওয়াশ করার ম্যাচ।
বুধবার জিততে পারলেই সিরিজ হাতের মুঠোয় চলে আসবে সাকিব বাহিনীর। সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ভাল খেলা শুরু। পারফরমেন্সের গ্রাফ ক্রমেই উঠছে ওপরের দিকে। আয়ারল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে সিরিজে দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে একঝাঁক নতুন রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। ছাপিয়ে গেছে নিজেদের।
পরপর ২ ম্যাচে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর এবং টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর গড়ার জোর সম্ভাবনা তৈরি, গত ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি বাঁধা না দিলে অর্থ্যাৎ, পুরো ২০ ওভার খেলা হলে হয়ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেদের ২১৫ রানের সর্বোচ্চ দলগত স্কোরও টপকে যেতে পারতো সাকিব বাহিনী।
সে ম্যাচে লিটন দাস আর রনি তালুকদার পাওয়ার প্লে‘র ৬ ওভারে ৮১ রান তুলেও নতুন রেকর্ড তৈরি করেন। ১০০ রান পূরণ হয় মাত্র ৮.৫ ওভারে।
তারপর সাকিব, তাওহিদ হৃদয়রা ইনিংসের চাকা সচল ও দ্রুত করতে পারেন। এর সঙ্গে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টটা হয়েছে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ধারালো। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নতুন এক বাংলাদেশকেই দেখা যাচ্ছে।
তাসকিন নিজেকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। একজন ভাল মানের ফাস্টবোলারের যত রকম গুণাবলী দরকার, তার প্রায় সব রকম গুণই এখন তাসকিনের ভেতরে আছে। হাসান মাহমুদও উঠে আসছেন দ্রুত। মোস্তাফিজই বরং একটা পর্যায়ে এসে আটকে আছেন। না হয় বাংলাদেশের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টটা আরও সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় হতো। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে পেস বোলিং টিম বাংলাদেশের বড় শক্তি, সম্পদ এবং অস্ত্র। আর স্পিন বোলিংতো আছেই। সে সাথে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং এবং ক্যাচিংয়েও উন্নতির ছাপ পরিষ্কার।
আইরিশরা এ সফরে যে মানের ক্রিকেট খেলেছেন, তা দিয়ে বাংলাদেশকে হরানো বা তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া কঠিন। সাকিবের দল আত্মতুষ্টিতে ভুগলে কিংবা বাংলাদেশের খুব বাজে দিন গেলে ভিন্ন কথা। আইরিশদের পেড়ে ওঠা খুব কঠিন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ মার্চ-২০২৩/মওম