আজ সোমবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অনাস্থা ভোটের মুখে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সংসদকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার এ সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি দেশটির সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতারারও।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০ মার্চ সোমবার ম্যাক্রোঁ এবং তার সরকারের ওপর এ অনাস্থা ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভোট হলেও তার সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টিই তার সরকারের জন্য বিব্রতকর।

- Advertisement -

মধ্যপন্থী দল লিখঁ প্রথম অনাস্থা ভোট আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। এতে সমর্থন জানায় উগ্রডানপন্থী নুপেস জোট। এর কয়েক ঘণ্টা পর অপর উগ্রডানপন্থী দল ন্যাশনাল র‌্যালি পার্টি আরেকটি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়। সংসদে এ দলটির ৮৮টি আসন রয়েছে। গত বছর নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ম্যাক্রোঁর দল। তবে তা সত্ত্বেও একাধিক-দলের প্রস্তাবিত এ অনাস্থা ভোট হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ এটি এগিয়ে যেতে ডানপন্থী, বামপন্থী এবং মধ্যপন্থীসহ সব দলের এক জোট হতে হবে।অনাস্থা ভোট সম্পর্কে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে সংবাদমাধ্যম লঁ পার্সিয়ানকে বলেছেন, ‘সরকারের পতন ঘটানোর মতো কোনো জোট গঠিত হবে না। কিন্তু এটি একটি সত্যের মুহূর্ত হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘পেনশন সংশোধন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সরকার পতনের কোনো উপযুক্ত কারণ হতে পারে? পরিষ্কার উত্তর হলো না। সবাইকে তার দায়িত্ব নিতে হবে।’

গত সপ্তাহে ফ্রান্সে পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ বছর করা হয়। এরপরই আন্দোলনে নামেন মানুষ। গত তিন দিন ধরে এ নিয়ে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে।

সূত্র: রয়টার্স

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৯ মার্চ-২০২৩/মওম

- Advertisement -
- Advertisement -