আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের অপতৎপরতায় মার্কিন নজরদারি একটি ড্রোন কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এমন দাবি করেছে। স্থানীয় সময় ১৪ মার্চ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। তবে রুশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে মার্কিন ড্রোনের সংঘর্ষের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর প্রথমবারের মতো সরাসরি সংঘর্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আনলো দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভিন্ন মন্তব্য করেছে এ ঘটনায়। ওয়াশিংটনে মস্কোর রাষ্ট্রদূত বলেছেন তার দেশ মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোন এবং রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানকে ঘিরে ঘটনাটিকে উস্কানি হিসেবে দেখছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে নিয়মিত নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। শুধু তাই নয় ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়ে সমর্থন করেছে এই যুদ্ধে। তবে সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি এখনো। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলছে, দুটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ জেট বিমান আন্তর্জাতিক আকাশে উড়ার সময় আমেরিকান গুপ্তচর ড্রোনটিকে বেপরোয়াভাবে বাধা দেয়। রাশিয়ান যুদ্ধবিমানগুলো জ্বালানি তেল ফেলেছিল এসময়। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর, সকাল ৭টা ৩ মিনিটে একটি জেট এবং ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফলে এটি বিধ্বস্ত করা হয় কৃষ্ণসাগরে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, রাশিয়া ড্রোনটি উদ্ধার করেনি এবং যুদ্ধবিমানও সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন বিমানবাহিনীর জেনারেল জেমস হেকার, যিনি এই অঞ্চলে বিমান বাহিনীর তদারকি করেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়ার এটি একটি অনিরাপদ এবং অপেশাদার পদক্ষেপ, যার ফলে দুটি বিমানই প্রায় বিধ্বস্ত হতে যাচ্ছিল।’
সূত্র: রয়টার্স
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫মার্চ-২০২৩/মওম