বহুমাত্রিক লেখক স.ম. শামসুল আলম জন্মোৎসব সংকলনে প্রকাশিত বিশিষ্ট সাহিত্যজনদের লেখা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোকপাত
সরদার জাহাঙ্গীর আলম বাবলু
……………………………………………
বহুমাত্রিক লেখক স.ম. শামসুল আলম জন্মোৎসব সংকলন ‘সমকথা’ প্রকাশিত হয় তাঁর ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ২৫ আগষ্ট ২০১৭ সালে। নজরুল ইসলাম নঈম সম্পাদিত সমকথা প্রকাশ করেছেন জসিম উদ্দিন তাঁর স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা কথাপ্রকাশ থেকে। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ধ্রুব এষ প্রচ্ছদ করেছেন বিশিষ্ট কার্টুনিষ্ট ও চিত্রশিল্পী এম.এ. কুদ্দুসের প্রতিকৃতি অবলম্বনে।
স.ম. শামসুল আলম ১৯৬২ সালের ২৫ আগস্ট রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের শিকজান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লেখালেখি শুরু ১৯৭৯ সাল থেকে। বর্তমান সময় পর্যন্ত আছেন লেখালেখিতেই। কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খান (দাদাভাই)-এর সাহচার্য এবং মেলার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ায় আরও এগিয়ে যায় সাহিত্যাঙ্গনে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রয়েছে স.ম. শামসুল আলমের অবাধ বিচরণ। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ছড়া, শব্দরম্য, কলাম, নাটক, গান প্রভৃতি মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৮৬টির অধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে আমার বঙ্গবন্ধু, ছন্দানন্দে বঙ্গবন্ধু, হিংসার নক্ষত্র এক, আমার মনের আকাশ জুড়ে, হেসে ফাটে দম, আব্বুর ফিরে আসা, বহুরূপী দেবশিশু, গল্পের গাড়ি মিরধা ভাই, দাঁড়াবার পা কোথায়, চমকে উঠে চোখের হাসি, চমক দেব ধমক দেব, শেখ রাসেলের বন্ধুরা ও আমি, অপির দুপুর, রঙ দিয়ে যায় চেনা, লিজার বাগান বাড়ি, মায়ের অলংকার, বাবার কবর, স্বাধীন স্বাধীন স্বপ্নগুলো, বুলির কথামালা, কালুখালী জংশন, সিমেন এনালাইসিস, ব্যাঙাচি আর ক্যাঙাচি প্রভৃতি।
‘শিশুর বিকাশে অবিচল আমরা’ স্লোগান দিয়ে ২০১২ সালের ১২ মে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি শিশু-কিশোর সংগঠন ‘আনন ফাউন্ডেশন’। আনন ফাউন্ডেশন বিনামূল্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য নিয়মিত গান, নাচ, আবৃত্তি ও চিত্রাংকনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে। আনন ফাউন্ডেশন জেএসসি, পিএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিকগণের অংশগ্রহণে আনন ফাউন্ডেশন প্রতিমাসের শেষ শুক্রবার সাহিত্যসভা করছে নিয়মিত। আনন শিশুসাহিত্য পুরষ্কার ও আনন ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা প্রবর্তন করেছেন স.ম. শামসুল আলম। আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কারের মূল্যমান ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ও আজীবন সম্মাননা মূল্যমান মাসিক ৫,০০০/- টাকা। এ পর্যন্ত আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশসাহিত্যিক হলেন- সর্বজনাব ফারুক নওয়াজ, মাহমুদউল্লাহ, আখতার হুসেন, সেলিনা হোসেন, লুৎফর রহমান রিটন, আলী ইমাম, সুজন বড়ুয়া, কাইজার চৌধুরী এবং আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন, ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া ও ছড়াকার মোহাম্মদ মোস্তফা।
লেখাটি যখন লিখছিলাম, তখনই দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে জানতে পারলাম এবছর সমধারা শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন- স.ম. শামসুল আলম। ইতিমধ্যে যে সমস্ত সংবর্ধনা-সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্যহলোÑ গীতিকার তৌহিদ-উল ইসলাম পাঠাগার কর্তৃক সৈয়দ শামসুল হক শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২২, অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা সম্মাননা-২০১৪,কাব্যকথা সাহিত্য পদক-২০১৫, কবি ওমর আলী সাহিত্য পদক-১৪২২, শহীদ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পদক-২০১৬, বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি কর্তৃক কিশোরকবিতা সম্মাননা-২০১৬, মহাত্নাগান্ধী পীস এ্যাওয়ার্ড-২০১৬, দৈনিক ইত্তেফাক ফাতেমা ফাউন্ডেশন বন্ধু স্মারক-২০১৬, শিশুসাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলী পদক-২০১৭, লাটাই ছড়াসাহিত্য পুরস্কার-২০১৭, ফরিদপুর বর্ণমালা সাহিত্য পরিষদের সম্মাননা স্মারক-২০২০, ভারতের চোখ পত্রিকা কর্তৃক অন্নদাশঙ্কর রায় স্মারক পুরস্কার-১৪২৬, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদ কর্তৃক মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পদক-২০২০, ডাকপত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ প্রভৃতি।
বহুমাত্রিক লেখক স.ম. শামসুল আলমের লেখালেখি নিয়ে স.ম. শামসুল আলমের জন্মোৎসব সকলনটি সমৃদ্ধ করেছেন যে সকল বিশিষ্ট সাহিত্যজন, তাঁদের লেখা নিয়েই কিঞ্চিত আলোকপাত-
মূল্যায়নকথায় কবি আল মাহমুদ ‘স.ম. শামসুল আলম ছন্দে-গন্ধে সৃষ্টিশীল মানুষ’ শিরোনামে লিখেছেনÑ“আমি তাঁর কবিতার প্রশংসা করি। তিনি ছন্দে-গন্ধে ব্যাকুলতায় সাহিত্য সৃষ্টি করছেন। তাঁর দীর্ঘ জীবন ও সাহিত্য স্বচ্ছন্দ বিচরণ কামনা করি।”
ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া শিরোনাম দিয়েছেন- ‘একের ভিতর অনেক স.ম. শামসুল আলম’। লেখাটি বেশ বড় হলেও স.ম এর লেখা ১২টি ছড়ার কিছু উদাহরণ টেনে এনে শেষে লিখেছেন- “বর্তমান সময়ে তিনি টাকা-পয়সা ব্যয় করে শিশুসাহিত্যের সেবা বা পৃষ্ঠপোষকতা করছেন এটা শিশুসাহিত্যের জন্য অনেক সম্মানের।”
একুশে পদক ও শিল্পকলা পদকপ্রাপ্ত আমানুল হক লিখেছেন- আননের কাননে আমরা কুসুম কলি’ শিরোনামে। তিনি তাঁর লেখায় লিখেছেন“স.ম. শামসুল আলম দীর্ঘদিন কচি-কাঁচার মেলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের একজন আদর্শ সৈনিক। তাঁরই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কচি-কাঁচার মেলার আদলে ‘আনন ফাউন্ডেশন নামে আদর্শিক শিশু সংগঠন পরিচালনা করে আসছেন। স.ম. শামসুল আলমের নেতৃত্বে গড়া শিশু সংগঠনটি এগিয়ে যাবে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
কবি,গীতিকার ও শিশুসংগঠক ফজল-এ-খোদা ‘তার মতো মানুষের দীর্ঘজীবনপ্রাপ্তি সবিশেষ জরুরি’ শিরোনামে লিখেছেন-“স্নেহভাজন স.ম. শামসুল আলম শুধু একজন নিষ্ঠাবান লেখকই নন, একজন দায়িত্বশীল শিশুসংগঠকও। তাঁর মতো মানুষের দীর্ঘজীবনপ্রাপ্তি সবিশেষ জরুরি।”
চিত্রশিল্পী ও শিশুসাহিত্যিক হাশেম খান ‘স.ম. শামসুল আলমকে শুভেচ্ছা’ শিরোনামে লিখেছেন- “মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, জীবনবোধ, সমাজ ও মানবিক মূল্যবোধকে তাঁর লেখার বিষয় হিসেবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাধান্য দিয়েছেন। ছড়া, কবিতা, গল্প, কিংবা অন্য বিষয় নির্বাচনের সময় তিনি শিশুদের বয়স, মনস্তত্ত্ব, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান ও পরিবেশকে মনে রেখেই তাঁর লেখার বিন্যাস ঘটান। লেখকের অনেক বইয়ের প্রচ্ছদ আমি করেছি এবং তৃপ্তি পেয়েছি। কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের সান্নিধ্যে আসার সুযোগে শিশুসাহিত্য ও সংগঠন গড়ে তুলতে নতুন প্রেরণা ও উৎসাহ তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দাদাভাইয়ের প্রতি স.ম. শামসুল আলমের গভীর শ্রদ্ধা। সাহিত্যচর্চা ও শিশুকিশোর সংগঠন-আনন ফাউন্ডেশন এর সুন্দর ও গঠনমূলক কর্মচাঞ্চল্যেও কারণেই স.ম. শামসুল আলম সমাজে আদৃত হচ্ছেন।”
কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন ‘কবি নির্মাতা স.ম. শামসুল আলমের প্রতি জন্মদিনের নিবিড় আশীর্বাদ ও একান্ত শুভেচ্ছা’ শিরোনামে লিখেছেন-“সাহিত্যকর্মী ও কবি স.ম. শামসুল আলম একজন কর্মচঞ্চল অনুসন্ধিৎসু এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সজ্জন মানুষ সাহিত্যক্ষেত্রের প্রায় সব শাখাতে তাঁর বিচরণ। ‘কবিতায়’ ও তিনি নিজের নিজস্বতা প্রতিষ্ঠা করতে সফল ও সক্ষম হতে পেরেছেন বলা যায়। সর্বজন শ্রদ্ধেয় রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের শিশুকিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা-এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স.ম. শামসুল আলম অনেক দিন একজন কর্মী ও সংগঠক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।”
গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান শিরোনাম দিয়েছেন ‘স.ম.শামসুল আলমের সমগ্রতাকে’। তিনি লিখেছেন-“স.ম. শামসুল আলম সম্পর্কে কিছু লেখা আমার জন্যে কঠিন। কারণ, তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক পিতা-পুত্রের। শিশুতোষ লেখা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস এবং মূলত-কবিতা লেখাই নয়, তবে অধিকাংশ লেখাই আমার পড়ার সুযোগ হয়েছে। তার লেখা যতটা আলোচনায় আসা উচিত, তা আসেনি। একথা বলার মধ্যে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের পক্ষপাতিত্ব না রাখার ব্যাপারে আমি সচেতন।”
অধ্যাপক, কবি ও কথাসাহিত্যিক আ ন ম আবদুস সোবহান ‘চিত্তের আনন্দের জন্য’ শিরোনামে লিখেছেন-“স.ম. শামসুল আলম আমার ছাত্র ছিলেন এবং তার প্রথম বই আমাকে উৎসর্গ করেন। দীর্ঘ বছর যোগাযোগ না থাকলেও ইত্তেফাকে ছাত্রের লেখা পড়ে সাফল্য দেখতে পাই। একজন সফল ব্যবসায়ী হয়েও সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়নি বিত্তের মধ্যে। চিত্তের আনন্দের জন্য, কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।”
শিশুসাহিত্যিক সিরাজুল ফরিদ লিখেছেন- ‘স.ম. শামসুল আলম-এর সাহিত্যকর্ম’ শিরোনামে। তিনি তাঁর লেখাতে লিখেছেন এভাবে,“স.ম. শামসুল আলম বর্তমান প্রকাশভঙ্গি, মানুষের সাথে বিনম্র আন্তরিক ব্যবহার, সাংগঠনিক দক্ষ তৎপরতা, শিশু-কিশোরদের সুপ্ত মেধা বা প্রতিভাকে জাগিয়ে তোলা বা বিকাশে আনুষঙ্গিক আয়োজনে তার সার্বিক তত্ত্বাবধান, সক্রিয় সহযোগীতার দ্বার উন্মোচন এবং একই সাথে তার নিজ শাণিত মেধাকে সাহিত্যকর্মে প্রকাশ ঘটাতে সক্ষম। লেখকের সাহিত্যকর্ম নিয়ে দীর্ঘ লেখার শেষে লিখেছেন, আমার প্রিয় আলম, দীর্ঘদিনের কনিষ্ঠ বন্ধু তার শ্রেষ্ঠ কাজের জন্য বেঁচে থাকবেন।”
শিশুসাহিত্যিক মাহমুদউল্লাহ ‘একটি সমীক্ষা : স.ম.-র সাহিত্যকর্ম’ শিরোনামে লিখেছেন-“সাহিত্য যাকে একবার পেয়ে বসে তাঁর আর নিস্তার নেই। তিনি যত বড় শিল্পপতিই হন না কেন, সাহিত্য শিল্পের মায়াবী হাতছানি উপেক্ষা করতে পারবেন না। শীর্ষ ধনকুবের বর্ণাঢ্য জীবনযাপন তাঁকে পূর্ণ পরিতৃপ্তি কিংবা স্বস্তি দিতে সক্ষম হবে না। তিনি ফিরে যাবেন সাহিত্যেও সবুজ-শ্যামল ভূখন্ডে। হ্যাঁ, শীর্ষ কর্মকর্তা, শিল্পপতি কিংবা রাষ্ট্রপতি-যিনিই হন না কেন তিনি ফিরে যাবেন সাহিত্যের পলিমাটিতে। এমন ঘটনা অতীতে যেমন প্রত্যক্ষ করেছি বর্তমানেও দেখছি। আর ভণিতা নয়-আমি বলছি জ্বলজ্বলে জীবন্ত সাহিত্যপ্রেমিক স.ম. শামসুল আলম এর কথা। শামসুল আলম আমাদের গ্রামের সাধারণ মানুষ, প্রকৃতি আর বিচিত্র মানসিকতার খেয়ালি মানুষকে তুলে এনেছেন তাঁর লেখায়।”মাহমুদউল্লাহ স.ম.-র সাহিত্যকর্মের সকল বিষয়ের বিশদ বর্ণনা করেছেন।
শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন শিরোনাম দিয়েছেন ‘জয়তু স.ম. শামসুল আলম’। আখতার হুসেন শুরু করেছেন এভাবে- “দৈনিক পত্র-পত্রিকাগুলোর ছোটদের পাতার দিকে-কাদের লেখা ছাপা হচ্ছে, কারা কেমন লিখছে, এই রকম খেয়াল রাখতে গিয়েই স.ম. শামসুল আলম আমার মনোযোগ কেড়ে নেয়। বিশেষ করে ‘কচি-কাঁচার আসর’ এ প্রকাশিত তাঁর ছড়া ও পদ্য। স.ম’র লেখার বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে পরিশেষে লিখেছেন, স.ম. শামসুল আলম সাহিত্য-কৃতির বাইরেও সামাজিক কৃতিত্বের অধিকারী। ‘আনন ফাউন্ডেশন’ শিশু-কিশোরদের শারীরিক, মানসিক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে ইতিমধ্যে একটি সর্বজনস্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদায় বিভূষিত। ‘আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার’-এর প্রবর্তন তাঁর আরেক কীর্তি , যা আমাদের শিশুসাহিত্যকে জাগর ও জাগ্রত রাখতে রাখছে অপরিমেয় অবদান। তাঁর ব্যক্তিগত ও সামাজিক অবদানের শেষ নেই। জয়তু স.ম. শামসুল আলম।”
কথাসাহিত্যিক ও শিশুসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ‘সে ধ্বনি নতুন সুরে বেজে উঠুক’ শিরোনামে লিখেছেন। স.ম.-র বিভিন্ন বইয়ের আলোচনার পাশাপাশি উদাহরণ দিয়েছেন যথার্থভাবেই। “শামসুল আলম অবলোকন করেন সমাজ-বৈচিত্রের নানা সূত্রের পাটাতন। এখানে অঙ্কিত হয় শিশু-কিশোরের বৃহত্তর মানবিক পরিবেশ। সেখানে দুস্থ শিশুর বঞ্চনার কথা আছে- তাদের প্রতি সমাজের অবহেলার ক্ষোভ আছে- স্বপ্ন তুলে ধরার প্রেরণা আছে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িকতা কবিতার পঙ্ক্তিতে উজ্জ্বল আলো ছড়ায়। আমার গভীর বিশ্বাস স.ম. শামসুল আলম নিজের লেখক সত্তার বিকাশ ঘটাবেন ভিন্ন মাত্রায়। সে ধ্বনি নতুন সুরে বেজে উঠুক স.ম. শামসুল আলমের সাহিত্যচর্চার প্রতিটি ক্ষেত্রে।”
গবেষক ও লেখক এবং যুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার সিরু বাঙালি লিখেছেন- ‘স.ম.শামসুল আলম গুণ আর গুণীর সমন্বয়ক’ শিরোনামে। তিনি লিখেছেন, “স.ম. শামসুল আলম পেশায় একজন প্রকৌশলী, নির্মাতা। তাঁর হাতে থাকার কথা ছিল হাতুড়ি, সিমেন্ট, বালি। আমাদের বাংলা শিশুসাহিত্যের পরম সৌভাগ্য, তিনি সিমেন্ট-বালির চাইতেও বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন শিশুসাহিত্য ও মননশীল সৃষ্টিতে। কী মননে, কী মানসিকতায় তাঁর তুলনা তিনি নিজেই।”
কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদ লিখেছেন, ‘ জন্মদিনে স.ম.’র জন্য ভালবাসায় কিছু প্রত্যাশা’ শিরোনামে। তিনি লিখেছেন- স.ম.’র সাথে পরিচয় কিভাবে হয় বিষয়টি দিয়ে লেখা শুরু করলেও, স.ম’র লেখার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন যথার্থ ভাবেই।
কথাসাহিত্যিক ও সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন ‘তোমাকে অভিনন্দন, শামসুল আলম’ শিরোনামে মূল্যায়ন করে লিখেছেন- বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান আমাকে একবার বলেছিলেন,‘যে পারে সে সব পারে’। জনাব সোবহানের এই কথাটা আমি সব সময় মনে রাখি। শামসুল আলমকে দেখে বহুবার এই কথাটা আমার মনে হয়েছে। ‘যে পারে সে সব পারে’।
শিশুসাহিত্যিক ফারুক নওয়াজ শিরোনাম দিয়েছেন,‘স.ম. ও তাঁর ছড়াসমগ্র নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোকপাত’। স.ম.’র ছড়াসমগ্র নিয়ে আলোকপাত করার পাশাপাশি তুলে এনেছেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা ও দাদাভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক, আনন ফাউন্ডেশন, কর্মজীবন প্রভৃতি। ছোটদের-বড়দের-সকলের লেখক স.ম. শামসুল আলম-আমাদের কাছে শুধু স.ম নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে তাঁর কর্ম ও সৃষ্টির ভাবের কারণে।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া লিখেছেন, ‘শিশুর বিকাশে স.ম. শামসুল আলম’ শিরোনামে। স.ম.’র সাহিত্য, আনন ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই প্রভৃতি টেনে এনেছেন। তিনি লিখেছেন, “স.ম. কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এই সূত্রে খ্যাতিমান শিশুসংগঠক ও লেখক-সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের প্রত্যক্ষ শিষ্যত্ব পেয়েছিলেন। সম্ভবত এই শিষ্যত্বই শিশুবিষয়ক নানামুখী কর্মকাণ্ডে প্রবলভাবে প্রাণিত করেছে তাকে।”
শিশুসাহিত্যিক লুৎফর রহমান লিটন ‘সম-র পঞ্চান্ন’ শিরোনামে লিখেছেন- “স.ম. শামসুল আলম একজন নিষ্ঠাবান সাহিত্যপ্রেমী।”স.ম-ও সাথে পরিচয়, দাদাভাই, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা, ইত্তেফাকে কচি-কাঁচার আসরে লেখা প্রকাশের কথা গল্পের মতো সাজিয়েছেন।
শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন ‘অব্যাহত হোক তাঁর কর্মযজ্ঞের জয়গান’ শিরোনামে স.ম-র দুটো বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী হয়েছেন। তাহলোÑ প্রথমত, স.ম শামসুল আলম-এর শিশুসাহিত্য এবং সেই সঙ্গে ছড়া। দ্বিতীয়ত, সাহিত্য সাংগঠনিক কাজে আলমের উদার উপস্থিতি। স.ম-র লেখা-লেখির বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি অন্যান্য বর্ণনা খুবই চমৎকার।
শিশুসাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আমীরুল ইসলাম ‘সজ্জন লেখক স.ম শামসুল আলম’ শিরোনামে লিখেছেন-“আমাদের চারপাশে এখন সাধুসজ্জন ব্যক্তির বড় অভাব। হৃদয়বান ব্যক্তি কোথায়? জগতে সজ্জন ব্যক্তির দেখা পাওয়া আরো দুর্লভ। হঠাৎ কারো দেখা পেলে মনটা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠে। স.ম শামসুল আলম এমনই একজন সাধু ব্যক্তি। শিশুসাহিত্য চর্চার একনিষ্ঠ সাধক তিনি। শিশুসাহিত্যের সকল শাখায় তিনি সক্রিয়।”
কথাসাহিত্যিক, শিশুসাহিত্যিক ও সম্পাদক আনিসুল হক ‘শুভ জন্মদিন স.ম শামসুল আলম’ শিরোনামে লিখেছেন- “স.ম জীবন-জীবিকাতেও সফল, লেখালেখির জগতেও সাংঘাতিক সফল। তবে আমি বিশেষ ভক্ত স.ম-র কিশোর কবিতার।”
কবি কাজী রোজী শিরোনাম দিয়েছেন,‘শামসুল আলমের সাহিত্যে জীবন দর্শন আছে এবং থাকবেই।’ শিরোনাম পড়লেই বুঝা যায় ভিতরের লেখা প্রাসঙ্গিকতা কত চমৎকার। আমার বঙ্গবন্ধু বইটি সম্পর্কে লিখেছেন, আমার বঙ্গবন্ধু বইটির মোড়ক উন্মোচন করলে পরতে পরতে পাওয়া যাবে সমগ্র শৈলী বিবেচনার আংশিক ছায়া পথের আলেখ্য বিস্তার।
কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ শিরোনাম দিয়েছেন, ‘নান্দনিক পুলকের সন্ধানে নিঃসঙ্গ এক কবি’। স.ম.’র লেখা কবিতা নিয়ে আলোচনা করে শেষে লিখেছেন,অর্জন করুক আরো বিস্তৃতি, পাঠকহৃদয়ে সঞ্চারিত করুক নান্দনিকতার অমেয় আনন্দ, পুলক ও শিহরন।
গবেষক ও শিশুসাহিত্যিক খন্দকার মাহমুদুল হাসান ‘নগন্য উপহার’ শিরোনাম দিয়ে লিখেছেন- “স.ম.শামসুল আলম কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, গল্পকার এটুকুই নয়, আরো অনেক কিছুই তিনি। একজন যোগ্য সংগঠকও নিশ্চয়ই। শিশুসাহিত্যিক শুধু নন তিনি, শিশুসাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকও বটে।”
শিশুসাহিত্যিক, সংগঠক ও সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জাহান ‘সুন্দরের অভিযাত্রা ও উজান স্রোতের যাত্রী’ শিরোনাম দিয়ে লিখেছেনÑ “যে কোন ভালো কাজের সামনেই থাকে অজস্র বাধা। স.ম শামসুল আলম সে-রকম বাধা অনুভব করেন কিনা জানি না। তবে তাঁর প্রত্যয় এবং কমিটমেন্ট তাঁকে সকল বাধা ঠেলে সামনে এগিয়ে যাবার সাহস জোগাচ্ছে। তিনি সময়ের পরিক্রমায় উজান স্রোতের যাত্রী হয়ে একদিন সাফল্যের বন্দরে অবশ্যই নোঙর করবেন সে বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।”
কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার ‘স.ম শামসুল আলম আলম এর গল্প : সংবেদের নতুন রূপায়ণ’ শিরোনামে লিখেছেন-“বিচিত্র গল্পের আখ্যানে সাজানো স.ম শামসুল আলম এর গল্পগুলো। সহজ-সরল আঙ্গিকে, নিবিড় মননে গল্প লেখেন স.ম.।”
প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক বাবু মল্লিক ‘স.ম. শামসুল আলম : তিনি আমাদেরই লোক’ শিরোনামে লিখেছেন-“স.ম. শামসুল আলমের সাহিত্যকীর্তির যোগ্য আলোচনা সমালোচনা করার কোন যোগ্যতা আমার নেই বলেই মনে করি। শুধু এটুকু বলতে পারি, ব্রিটিশ ভারতের পরাধীনতা থেকে পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার বিপরীতে বাঙালির আবহমানকালের লড়াই শেষে একাত্তরের সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে যে বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সেখানে পদ্মা-গড়াই-চন্দনা ত্রিবেণী সঙ্গমে এই রাজবাড়ী জেলা তথা সাবেক গোয়লন্দ মহকুমার অবদান রয়েছে। বাঙালি ও বাংলা ভাষা রক্ষার লড়াইয়ে মীর মশাররফ হোসেন থেকে শুরু করে অজস্র নাম উঠে আসে, তারই উত্তরপ্রজন্ম ও যোগ্য প্রতিনিধি স.ম. শামসুল আলম। মৃগীর মাটিতে গড়া তিনি আমার রাজবাড়ী জেলার কৃতী সন্তান, তিনি আমাদেরই লোক।” স.ম.’র পূর্বসূরীর ইতিহাসও বর্ণিত আছে লেখাটিতে।
মূল্যায়নকথাতে আরো যাঁরা লিখেছেন তাঁরা হলেন- অনুবাদক ও প্রকাশক ইফতেখার রসুল জর্জ, শিশুসাহিত্যিক মুস্তাফা মাসুদ, কবি বিমল গুহ, কবি, কথাসাহিত্যিক তাহমিনা কোরাইশী, শিশুসাহিত্যিক নজরুল জাহান, কবি ও সম্পাদক মাহমুদ কামাল, কবি ও ছড়াকর ইফতেখার হালিম, কবি ও আবৃত্তিশিল্পী রহিমা আক্তার কল্পনা, গবেষক ও সাহিত্যিক সরকার আবদুল মান্নান, কবি ও সাংবাদিক সৌরভ জাহাঙ্গীর, শিশুসাহিত্যিক ও সম্পাদক পাশা মোস্তফা কামাল, শিশুসাহিত্যিক ও কবি চন্দনকৃষ্ণ পাল, শিশুসাহিত্যিক দিপু মাহমুদ, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ওয়াসিফ-এ-খোদা, গবেষক ও অধ্যাপক হাসনাইন সাজ্জাদী, কবি ও সম্পাদক বীরেন মুখার্জী, সাহিত্যিক ও সমাজসেবক রকিবুল হাসান খোকন, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শিবুকান্তি দাশ, কবি ও সাংবাদিক জাকির আবু জাফর, শিশুসাহিত্যিক জুলফিকার শাহাদাৎ, গল্পকার আবিদ করিম মুন্না, কবি ও সম্পাদক ড. ফজলুল হক তুহিন, প্রকাশক ও সম্পাদক শফিক সাইফুল, নিগার সুলতানা জুঁই, কবি পিয়াস মজিদ, প্রাবন্ধিক মোমিন মেহেদী, শিশুসাহিত্যিক ও সম্পাদক শায়লা রহমান তিথি, কবি ইমরান মাহফুজ, শামাদান উফা, আনজাম আনন, চান্দ্রেয়ী পাল মম, নাঈমুল ইসলাম নাবিল।
প্রীতিকথা স্মৃতিকথা লিখেছেন- চিত্রশিল্পী ও কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার উপদেষ্টা আইনুল হক মুন্না, শিশুসাহিত্যিক সোহেল মল্লিক, শিশুসাহিত্যিক এনায়েত রসুল, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা হোসেইন, প্রাবন্ধিক মফিজ ইমাম মিলন, শিশুসাহিত্যিক মোজাম্মেল হক নিয়োগী, কবি পারু পারভীন, শিশুসাহিত্যিক মমতাজ আহাম্মদ, কবি রহমান ফাহমিদা, গীতিকার হীরেন্দ্রনাথ মৃধা, আবৃত্তিশিল্পী মাহমুদা আখতার, প্রকাশক ও সাহিত্যিক হাশিম মিলন, কথাসাহিত্যিক শামীমা শাহীন, শিশুসাহিত্যিক লোকমান আহম্মদ আপন, ছড়াকার আহমাদ স্বাধীন, লেখক সাংবাদিক নাইস নূর, শিশুসাহিত্যিক আশিক মুস্তাফা।
গন্ধে আকুল ছন্দকথা সাজিয়েছেন যাঁরা তাঁরা হলেন- মাকিদ হায়দার, শেখ তোফাজ্জল হোসেন, আলী ইমাম, বুলবুল মহলানবীশ, আহসান মালেক, আলম তালুকদার, সৈয়দ আমির আলী, আসলাম সানী, আহমেদ কায়সার, এম.আর. মঞ্জু, রিফাত নিগার শাপলা, হাসনাত আমজাদ, রাশেদ রউফ, আশরাফুল আলম পিন্টু, আসলাম প্রধান, সিকদার নাজমুল হক, মানসুর মুজাম্মিল, গোলাম নবী পান্না, তপন বাগচী, বাকীউল আলম, আহমেদ রিয়াজ, কামরুজ্জামান দিশারী, ওমর ফারুক নাজমুল, সৈয়দ রনো, ইমরান পরশ, আবেদীন জনি প্রমুখ।
গল্পকথা লিখেছেন, নাসরিন মুস্তাফা, মিশকাত রাসেল।
স.ম. শামসুল আলম এর বই নিয়ে আলোচনা কিছু বই কিছু কথা লিখেছেন- আমীরুল ইসলাম, সালেক নাছির উদ্দিন, রমজান মাহমুদ, মহিউদ্দিন আকবর, রোকেয়া ইসলাম, আনোয়ারা কামাল, চন্দনকৃষ্ণ পাল, গোলাম নবী পান্না, ইফতেখার মারুফ, এম. ইব্রাহিম মিজি, মৃত্যুঞ্জয় দত্ত, নজরুল ইসলাম নঈম, মালেক মাহমুদ, মাহবুব রেজা, হামিদ মেহবুব, আলতাফ হোসাইন রানা, মাহবুবুল আলম কবীর, সব্যসাচী পাহাড়ী, হুমায়ন কবির খোকন, আবেদুর আর শাহীন, নাসিরুদ্দীন তুসী, বিদ্যুৎ বিহারি, মনিরুজ্জামান পলাশ, মনসুর আজিজ, ইমরুল ইউসুফ, মাহবুব লাভলু, কামাল হোসাইন, কাজী মোহিনী ইসলাম, নূরনবী বেলাল, সালেহ্ বায়েজীদ, সাজ্জাক হোসেন শিহাব।
শুভেচ্ছাকথা লিখেছেন- মোহাম্মদ মোস্তফা, আশরাফুল আলম, কাইজার চৌধুরী, আবিদ আনোয়ার, শরীফ খান, ফরিদ আহমেদ, কুমার বিশ্বজিৎ, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, নাওশেবা সবিহ্ কবিতা।
সবশেষে, বইকথা, কথার অধিক ছবিকথা, শিল্পীর তুলিতে স.ম শামসুল আলম ‘সমকথা’কে আকর্ষনীয় করে তুলেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ দ্বীন মোহাম্মাদ দুখু / দ ম দ