টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ১২ রানে ফিরে যান ওপেনার ফিন অ্যালেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তিনি শুরু করলেও প্রথম ওভারেই বিদায় নেন। নাসিম শাহর শিকার হওয়ার আগে ৬ বলে করেন ১২ রান। আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে (১৪) হারিস রউফের শিকার হন।
ওপেনারদের ব্যর্থতার দিনে আলো ছড়িয়েছেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাটেই লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করায় কিউইরা। এছাড়া গ্লেন ফিলপস ২২ বলে ২৯, মার্ক চ্যাপম্যান ১৯ বলে ২৫ ও জিমি নিশাম ১০ বলে করেন ১৭ রান।
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার রউফ। এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। নাসিম ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের ধারাবাহিক শুরুটা হয়নি। ওপেনিংয়ে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি বেশিক্ষণ টিকেনি। মাইকেল ব্রেসওয়েলের শিকার হয়ে বাবর ১৪ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন। শান মাসুদকে নিয়ে রান বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান রিজওয়ান। কিন্তু মাসুদের প্রতিরোধও ভাঙে ব্রেসওয়েলের বলে। ২১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। খানিক পর রিজওয়ানও ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। ব্যাটে বসন্ত চলা এই উইকেটকিপার ব্যাটার ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেন ৩৪ রান।
৭৪ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন নওয়াজ। চার নম্বরে নামা বাঁহাতি ব্যাটার ২২ বলে ২ চার এবং ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৮ রান করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তারই হাতে। অবদান আছে হায়দারের। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষে ইফতিখার আহমেদ ১৪ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ২৫ রানে।
নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার ব্রেসওয়েল, সিরিজসেরার পুরস্কার জেতা এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।