[bangla_time] | [bangla_day] | [bangla_date] | [english_date] | [hijri_date]

ঈদে মিল্লাদুন নবী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

-Advertisement-

আরো খবর

মাজেদুল ইসলাম সবুজ:   
ঈদে মিল্লাদুন নবী পালিত হচ্ছে সারাবিশ্বে তারই ধারাবাহিকতায় মিরপুর চিড়িয়াখানা রোড মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে হযরত মোহাম্মদ( সাঃ) এর দুরুদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
কালের চাকা ঘুরে আবারো এলো রবিউল আউয়াল মাস। রবিউল আউয়াল মাস হল আরবী ১২ মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। মাস হিসাবে এর অবস্থান তৃতীয়, রবিউল আউয়াল মাস এলেই দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদুন্নবী, সিরাতুন্নবী ইত্যাদি বিষয়ক বিভিন্ন আয়োজন। দিনটিকে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ অক্টোবর গতকাল সোমবার মিরপুর চিড়িয়াখানা রোড মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর উপর দুরুদ এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহ মোহাম্মদ সাফুল আলম লিটন ও তার পরিবারবর্গ।
৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাবের দিন। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত।
তখন মানুষ হানাহানি এবং কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং করত মূর্তিপূজা। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রেরণ করেন এই ধরাধমে।  পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।
যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালন এবং  মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজির আহমেদ চৌধুরী, বীরপ্রতিক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনির হোসেন, সহ আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা।
- Advertisement -
- Advertisement -