আবু সায়েম:
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের রূপকার ও পথিকৃৎ এলজিইডির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রকৌশলী, দেশের কৃতিসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল ইসলাম সিদ্দিক’র ১৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আত্নার মাগফেরাত কামনা করে এলজিইডি ভবন কক্সবাজার মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।। ১লা সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এলজিইডি ভবন কক্সবাজার মসজিদে তাঁর স্মৃতিচারণ ও রুহের মাগফেরাত কামনায় কক্সবাজারের সুযোগ্য নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান,উপ সহকারী প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমদ সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
এতে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকির জীবন ও তাঁর মহত্ব তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান।
এলজিইডি কক্সবাজার সূত্রে জানা যায়,কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ১৯৬৭ সালে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[২] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ৩০ এপ্রিল যুদ্ধে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকৌশলী হিসেবে তিনি মুক্তি বাহিনীকে সহায়তা প্রদানে বিভিন্ন রাস্তা ও সেতুর নকশা প্রণয়ন করে যুদ্ধের অপারেশনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।[২] ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রথমে পল্লী কর্মসূচির উপ-প্রধান প্রকৌশলী এবং পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের আওতায় নগর নির্মাণ কর্মসূচির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন।[২] ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী ব্যুরোতে প্রকৌশল উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার পর তিনি প্রতিষ্ঠানটির কাঠামোগত সংস্কার সাধন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি এর প্রধান ছিলেন।[৪]
১৯৯৯ থেকে ২০০০ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ২০০০ সালে যমুনা সেতু ডিভিশন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ২০০০ থেকে ২০০১ পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন বেসরকারীকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[৪] তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৪ মেয়াদে গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশিপ-দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের চেয়ায়পার্সন ছিলেন।
বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্বব্যাংক কামরুল ইসলাম সিদ্দিককে ১৯৯৯ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল রোড ফেডারেশন’ কর্তৃক বর্ষসেরা ব্যক্তি ঘোষণা করেন।কর্মজীবনে কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ ভাসানী স্বর্ণপদক (১৯৯৫),কবি জসীম,উদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৯৫)আইইবি স্বর্ণপদক (১৯৯৮),সিআর দাস স্বর্ণপদক (১৯৯৯),আব্বাস উদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৯৯),
শেরেবাংলা স্বর্ণপদক (২০০০),বঙ্গবন্ধুপ্রকৌশলী স্বর্ণপদক (২০০০),জাইকা মেরিট অ্যাওয়ার্ড (২০০০),যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স ফেলোশিপ,বাংলা একাডেমি ফেলো (২০০৭) সম্মাননা লাভ করেন তিনি।
- Advertisement -

