আলোকিত ডেস্ক
প্রধান শিক্ষক অসুস্থ। তাই স্কুলে আসতে পারছেন না। তার বদলে স্কুলে ঢুকে ক্লাস করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকের স্বামী, যিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দেগঙ্গার খেঁজুরডাঙ্গায় স্কুলে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে তালা মেরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অভিভাবকরা।
প্রায় ২০ বছর আগের খেঁজুরডাঙার প্রাথমিক স্কুলটি শুরু হয় চারজন শিক্ষক নিয়ে। দু’জন অবসর নেয়ায় বর্তমানে দুজন শিক্ষক আছেন। স্কুলের ৭০ জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান এই দুজন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা ফিরোজা বিবি দীর্ঘদিন স্কুলে আসেন না। তার পরিবর্তে স্কুলে এসে পড়ান ফিরোজার শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাকিম রহমান বলেন, দেখছি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি স্কুলে পড়াচ্ছেন। তিনি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বামী। নকল শিক্ষক স্কুলে পড়াবে, এটা তো চলতে পারে না।
অভিভাবকদের দাবি, এই ইলেকট্রিক মিস্ত্রির নির্দেশেই স্কুলে নিম্নমানের মিড-ডে মিল দেয়া হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজও ঠিকমতো হয় না।
শেষ পর্যন্ত তিতিবিরক্ত হয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটকে রেখে গেল সোমবার বিক্ষোভ করেন তারা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আটকে রাখার পর ছাড়া হয় শহিদুলকে।
স্ত্রীর হয়ে প্রক্সি দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন শহিদুল। তবে তার দাবি, তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন না। স্ত্রী মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লেই তিনি পড়াতে আসেন বলে জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি