সিসিটিভি জানিয়েছে, ৪ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত পিপলস লিবারেশন আর্মির একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চীনের গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে ‘পুনর্মিলন অপারেশন’ এর জন্যই এই পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া সিসিটিভি-র এ সংক্রান্ত পোস্টের সঙ্গে তাইওয়ানের একটি মানচিত্র জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, চীনের এই সামরিক মহড়া তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তাইপে কোনও সংঘাত চায় না। তবে যেকোনও সংঘাতের মোকাবেলার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে চীনের সঙ্গে বিরোধ না বাড়ানোর নীতি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ সং ঝংপিংকে উদ্ধৃত করে গ্লোবাল টাইমস বলছে, ‘যে অপারেশনাল পরিকল্পনাগুলো বর্তমানে মহড়া করা হচ্ছে ভবিষ্যৎ সামরিক সংঘাতের ক্ষেত্রে এগুলো সরাসরি যুদ্ধ অভিযানে রূপান্তরিত হবে।’ ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর চীনের ২৭টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাইপে। বুধবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে এমন অভিযোগ করা হয়।
বেইজিংয়ের ক্রমাগত হুমকি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার তাইওয়ান সফর শুরু করেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বুধবার তিনি অঞ্চলটি ছেড়ে যান। মার্কিন স্পিকারের এই সফরের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। তাইওয়ান উপকূলে সামরিক মহড়া চালায় তারা। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে বিদ্যমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে উসকানিদাতা এবং চীন আক্রান্ত পক্ষ।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছিন্ন অংশ বলে দাবি করে চীন। তারা তাইপেকে বিশ্ব মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চায়। এছাড়া তাইপের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেকোনও দেশের যোগাযোগের বিরোধি বেইজিং।