আজ সোমবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রংপুরে  ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্কের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

আরো খবর

নুরুন্নবী নুরু
রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকবেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া।  রংপুর সদরের খলিশাকুড়িতে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্ক-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।  ২৬মে বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত একারণে যে আজ রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্ক এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে। আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে রংপুরবাসীর অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো। প্রতিযোগিতার এই যুগে আমাদের তরুণদের টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নাই। আর এজন্যই আমরা একটি প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গড়ে তুলতে চাই। তিনি আরো বলেন, রংপুর সবসময়ই অবহেলিত এলাকা ছিলো, এখানে কখনো শিল্পায়ন হয়নি। রংপুরবাসীর উন্নয়নে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্কের মাধ্যমে এখানকার তরুণ-তরুণীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হলো। এই পার্কে তিন হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার সময় অনেকেই বিদ্রুপ করেছে। অথচ এখন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে-নিভৃতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গিয়েছেন। শিক্ষা জীবনে তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন ষাট এর দশকে। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৬২ সালে তিনি আটক হন, কিছু দিন জেলও খাটেন। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল ব্যাপক। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া শুধু তার কাজের জন্য নয়, বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন। এ কারণে আমরা এই হাই-টেক পার্কের নামকরণ রংপুরের এই কৃতি সন্তানের নামে করতে চাই। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্ক, রংপুরের কাজ শুরু হলো। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইটি ইন্ডাস্ট্রির জনবলের চাহিদার দিক বিবেচনা করে আইসিটি খাতে দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে ৩৬০০০ জন। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইসিটি খাতে প্রায় ২২০০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১০.৬৮ একর জমিতে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর সদরের খলিশাকুড়িতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় তিন হাজার জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আলোকিত  প্রতিদিন / ২৬ মে ,২০২২/ মওম
- Advertisement -
- Advertisement -