আজ বুধবার, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৩ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নেত্রকোণার সড়ক এখন ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে

-Advertisement-

আরো খবর

 প্রতিনিধি,নেত্রকোণা
নেত্রকোণা পৌরসভার ভিতরে সর্বক্ষণ যানজট লেগেই  থাকে একদিকে যেমন রাস্তার প্রস্থ কম তো অন্যদিকে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্থায়ী বা ভাসমান দোকানপাট যার কারণে রাস্তার চলাফেরা করাই সম্ভব হচ্ছে না। কাইলাটি জজকোর্ট, জয়ের বাজার, ছোট বাজার, তেরি বাজার, থানার মোড়,  রেলক্রসিং  ইত্যাদি স্থানে যেমন ভ্যান, গাড়ি পার্কিং ফুটপাতে কাঁচা সবজি ভাসমান দোকান ইত্যাদি অস্থায়ীভাবে  ব্যবসা করে যাচ্ছে।   যার কারণে রাস্তার যানজটের সৃষ্টি সাধারণ পথচারী নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে না।  সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের বাধ্য হয়ে ফুটপাতে সড়কের পাশে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছ। এতে শহরের বিভিন্ন সড়কে সবসময় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট  তবে  গড়ে ওঠা বা ভাসমান  দোকানপাট উচ্ছেদ এর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর  কর্তৃপক্ষ।  স্থানীয় এক দোকানদার বলেন,   দোকানের সামনে কাঁচা বাজার নিয়ে বসে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সবজি ব্যবসায়ীরা। যা নিজেদের ব্যবসার বিঘ্ন ঘটছে বলে মনে করেন। লোকজন ঠিকভাবে আসতে বা  চলাচল করতে পারে না। তিনি আরো বলেন,  কে কিভাবে এসে বসে সে ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে তারা বিকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কাঁচা সবজি বিক্রি করে প্রতিনিয়ত  । পৌর মেয়র বা প্রশাসন কেউ কিছু বলে না তাদের চোখের সামনে এগুলো হচ্ছে দেখেও না দেখার ভান।তাই   এখন  কিছু বলে লাভ হয়  না  ।  তিনি  অস্থায়ী দোকান বসার  নিষেধাজ্ঞার  দাবি  জানান।  এদিকে অস্থায়ী  দোকানদারা জানান, তারা প্রতিদিন বিকাল হতে রাত ১০ অবধি  ভাসমান অবস্থায়  কাঁচা সবজি বিক্রি করে থাকে। কিভাবে কোন ভিত্তিতে বসেছে তার উত্তরে তিনি বলেন,কাউকে চাঁদা বা টোল দিতে হয় না নিজেরাই  বসি । নেত্রকোণা জেলা  ট্রাফিক  ইনচার্জ মোহাম্মদ  সালাউদ্দীন  কাজল এ-র  সাথে  কথা বললে তিনি জানান, পৌর শহরের  প্রতিটি রাস্তার পাশে থাকা অস্থায়ী  দোকান গুলো কে প্রতিনিয়ত  উঠানো হয় কিন্তু  কোন লাভ হচ্ছে না তারা পূণরায় এসে বসে। আইনি পদক্ষেপ  নেওয়ার কথা  বলে ও কোন কাজ হচ্ছে না। এখন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়র উনারা যদি কোন পদক্ষেপ  বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে তাহলে যানজট কমানো  সম্ভব না। এছাড়া  তিনি আরও বলেন, বড় মসজিদের সামনে  কিছু ছোট দোকান   করোনা কালীন বসার অনুমতি দিলেও এখন তাদের বসার কোন প্রয়োজন নেই। মেয়র নজরুল ইসলাম খান এঁর সাথে যোগাযোগ করলে  তিনি এই বিষয়টি দেখবে বলে জানান।  এদিকে নেত্রকোণা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সির সাথে ফোনে  যোগাযোগ চেষ্টা করলে কল ধরেননি।
আলোকিত প্রতিদিন / ১৯ মে ,২০২২/ মওম 
- Advertisement -
- Advertisement -