আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মারিউপোলের আজভস্টল স্টিল কারখানায় এখনও আটকে থাকা সেনাদের রক্ষায় ইউক্রেন ‘সম্ভব এবং অসম্ভব সবকিছুই’ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা। উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার জানান, ওই কারখানায় এখনও কত সেনা রয়েছে তা কিয়েভ জানে তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি ‘স্পর্শকাতর তথ্য’। সোমবার ওই কারখানা থেকে ২৬৪ জন যোদ্ধাকে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এদের অনেকেই মারাত্মক আহত। মঙ্গলবার ওই এলাকা থেকে আরও সাতটি বাস ছেড়ে যেতে দেখেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বহরটি পরে ওলেনিভকায় পৌঁছায়। ডনবাস অঞ্চলের এই গ্রামটিও রুশপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রুশ প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, তারা সব ইউক্রেনীয় সেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। মস্কোর বর্ণিত ‘ডনবাসের বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় শাসকদের অপরাধ’ সম্পর্কে তদন্তের অংশ হিসেবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নিজেদের সেনাদের ফিরে পেতে চায় ইউক্রেন। বিনিময়ে আটক হওয়া রুশ সেনাদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা। এনিয়ে মস্কোর সঙ্গে তাদের চুক্তিও হয়েছে। গত মার্চের শুরুতে অগ্রবর্তী রুশ বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের বন্দরনগরী মারিউপোল ঘিরে ফেললে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা-আজভ রেজিমেন্ট, ন্যাশনাল গার্ড, পুলিশ এবং আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ইউনিটের পাশাপাশি বেশ কিছু বেসামরিক মানুষ ওই স্টিল কারখানায় আশ্রয় নেয়। এই মাসের শুরুতে মারিউপোল থেকে বেশ কিছু বেসামরিক সরিয়ে নেওয়া হয়। রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এবং ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত উভয় এলাকাতেই তাদের সরানো হয়। মঙ্গলবার কিয়েভে এক ব্রিফিংয়ে উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ারের কাছে এখনও সেখানে কতজন আটকে রয়েছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কেবল আমরাই সংখ্যাটি জানি। চার বর্গমাইল এলাকার কারখানাটিতে বিশাল আন্ডারগ্রাউন্ড সুড়ঙ্গ রয়েছে। পারমাণবিক হামলা থেকে বাঁচানোর মতো করে এগুলোর নকশা করা হয়েছে। মালিয়ার বলেন, ‘আমরা উদ্ধার অভিযানের সুযোগ বুঝতে পারছি, কিন্তু এটা স্পর্শকাতর তথ্যও আর উদ্ধার অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ করা হবে না।’ সেনাদের ‘আমাদের বীর’ আখ্যা দিয়ে মালিয়ার জোর দিয়ে বলেন, তাদের রক্ষার একমাত্র পথ ছিল এই অভিযান। তিনি বলেন, সামরিক অবরোধ ভেঙে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব এবং অবাস্তব।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ মে ,২০২২/ মওম সূত্র: বিবিসি
- Advertisement -