আন্তর্জাতিক বাজারের দাম এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যায়নের উপর নির্ভর করে এই দাম নির্ধারণ করে এবার কমানো হয়েছে এলপিজির দাম। প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১১৯ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে কমিয়ে ১১১ টাকা ২৬ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৬৮ পয়সা দাম কমেছে। এতে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৩৩৫ টাকা হয়েছে। মে মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২ পয়সা থেকে কমিয়ে ৬২ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৌদি সিপি অনুসারে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম কমেছে। প্রোপেন ও বিউটেনের দাম প্রতি টন যথাক্রমে ৯৪০ থেকে কমে ৮৫০ এবং ৯৬০ থেকে কমে ৮৬০ ডলার হয়েছে। প্রোপেন এবং বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় মে মাসের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাসে ১ হাজার ৩৯০ টাকা দশমিক ৫৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৯ টাকা, মার্চ মাসে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৯০ টাকা দশমিক ৫৬ পয়সা করা হয়। তার আগের মাসেও দাম বাড়ানো হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করেছিল কমিশন। ওই সময় ১২ কেজির দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২৪০ টাকা করা হয়। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এর প্রভাবে জ্বালানি তেল, এলএনজি ও এলপিজির দাম প্রথম দিকে বাড়লেও এখন আবার নিচের দিকে নেমেছে। সেটারই প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও কমানো হয়েছে। প্রতি কেজি ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৮ টাকা ০২ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই কমানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। কমিশনের নির্ধারিত দামে বাজারে গ্যাস বিক্রি হয় কি না এবং তা মনিটরিং করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিষয়টি মনিটরিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সচিব আবু সায়িদ, সদস্য মকবুল-ই ইলাহি প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন।