নুর ইসলাম
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ঈদের দুই সপ্তাহ আগেই ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা শুরু করেছেন অনেকে। আর আগেভাগে কেনাকাটা করতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন মার্কেট ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকানে দোকানে দেখা গেছে নারীদের উপচে পড়া ভিড়। গত ২ বছর করোনার বিস্তার রোধে আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে ঈদে কেনাকাটা করতে পারেননি অনেকেই। আর ব্যবসায়ীরা পরেছিলেন বিপাকে। তবে এবারে ঈদে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় স্বস্তিতে ক্রেতা- বিক্রেতা। কেনাকাটায় দেখা যাচ্ছে ঈদের আমেজ। আর ঈদের বিক্রিতে বিক্রেতা খুসি হলেও জিনিসপত্রের দামে অখুশি ক্রেতারা। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকে দোকানে দোকানে লেগেছে ক্রেতাদের ভিড়। আর এবারের ঈদে নিজের ও প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে নারীদের। নারীরা কেনাকাটা করতে আসায় ব্যস্ততা বেড়েছে কাপড়, জুতা, কসমেটিকস এবং অলংকার দোকানীদের। ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জি পাড়াতেও। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, গত দুই ঈদে লকডাউনের কারণে প্রাণ খুলে ঈদ উদযাপন করতে পারিনি। নিজের ও প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা করারও সুযোগ হয়নি। তাই এবারের ঈদে আগাম কেনাকাটা করতে এসেছি। নিজের ও বাড়ির ছোটদের জন্য জামা, জুতা নিব। সাজসজ্জার জিনিসপত্র কিনবো। উপজেলার কাশিপুর কলেজ মোড় বাজারে কাপড়ের দোকানে পোশাক কিনতে আসা জাহানারা বেগম বলেন, ঈদ আসতে এখনো ২ সপ্তাহ বাকি আছে তা ঠিক। কিন্তু কাপড় কিনে দরজির কাছে তো দিতে হবে। দরজিকে দেরিতে কাপড় দিলে তো আর ঈদের আগে জামা তৈরি করে দিতে পারবে না। ঈদের জন্য কেনাকাটা করে যদি ঈদেই নতুন জামা পড়তে না পারি তাহলে কেনাকাটা করে লাভ কি বলেন? এদিকে জিনিসপত্রের দামে অসন্তষ্ট বেশিরভাগ ক্রেতা। উপজেলার গফুর মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মরিয়ম আক্তার মিস্টি নামের একজন বলেন, জামা, জুতা কিনতে এসেছি। যে দাম চাচ্ছে কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। গতবছর যে থ্রি- পিস ১২০০ টাকায় কিনেছি এবারে সেটার দাম চাইছে ২২০০ টাকা। জিনিসপত্রের দাম এমন হলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য সমস্যা। এ প্রসঙ্গে উপজেলার হাজী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, শুধু যে জামাকাপড়ের দাম বেড়েছে এমনটা তো নয়। প্রতিটা জিনিসপত্রের দাম আগের তুলনায় এখন বেশি। সে তুলনায় জামাকাপড়ের দামও কিছুটা বেড়েছে। আর দাম যে খুব বেড়েছে তাও তো মনে হচ্ছে না। সবাই তো নিজের পছন্দের জামাকাপড় কিনছে।
আলোকতি প্রতদিনি/ ২১ এপ্রলি ,২০২২/ মওম
- Advertisement -

