আজ মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১২ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাইগন বাড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদে অসংখ্য পূণ্যার্থীর অষ্টমী স্নানোৎসব

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

রিপন সারওয়ার:

মুক্তাগাছা উপজেলার পার্শ্ববর্তী ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বাইগন বাড়ির ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যস্নানে হাজার হাজার হিন্দু ধর্মালম্বী ভক্ত বৃন্দের সমাগম ঘটে। এক সময় এ অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান শুধু মাত্র বাইগন বাড়ির ব্রহ্মপুত্র নদেই হতো। কিন্তু কালের আবর্তে এখন জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান হয়ে থাকে। হিন্দু পুরান মতে, জমদগ্নি নামের এক মুনি পিতৃভক্তি পরীক্ষা করার জন্য তার চার ছেলেকে আদেশ করেন তাদের মা রেনুকাকে হত্যা করার জন্য। অন্যরা আদেশ প্রত্যাখান করলেও ছোট ছেলে পরশুরাম কুঠার দিয়ে মাকে দ্বিখন্ডিত করে। মাতৃহত্যার শাস্তি হিসেবে কুঠারটি তার হাতেই লেগে থাকে। মাতৃহত্যার পাপে আক্রান্ত হন পরশুরাম। তখন বাবা পশুরামকে তীর্থ ভ্রমণের আদেশ দেন। দেবতা ব্রহ্মপুত্র তখন হিমালয়ের বুকে হৃদরূপে লুকিয়ে ছিলেন। দৈবক্রমে পরশুরাম ব্রহ্মপুত্রের মহাত্মোর কথা জানতে পারেন। হিমালয় থেকে বয়ে আসা ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে স্নান করে পাপমুক্তি ঘটে পরশুরামের। খসে পড়ে হাতের কুঠার। সেই থেকেই  হিন্দু ধর্মালম্বী ভক্তরা অষ্টমী তিথিতে পাপ মুক্তির আশায় ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যস্নান করতে আসে। প্রতিবছর এ অষ্টমী স্নানকে কেন্দ্র করে বাইগন বাড়ি রেল স্টেশনের পাশে আয়োজন করা হয়ে থাকে অষ্টমী মেলার। গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী মেলায় নানা ধরনের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানীরা। বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে রয়েছে গৃহস্থালী এবং ঘর সাজানোর নানান সামগ্রী। এছাড়াও রান্না করার মসলা সহ পেয়াঁজ, মরিচ, রশুন এর বিশাল সমাহার ঘটে থাকে এ মেলায়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ এপ্রিল ,২০২২/ মওম

- Advertisement -
- Advertisement -