আজ রবিবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১০ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বেগুন বাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপনা দখল চক্রান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

প্রতিনিধি,মুক্তাগাছা 

ময়মনসিংহ সদর এবং মুক্তাগাছা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বেগুনবাড়ী কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধারা এক বিক্ষোভ মিছিল করে। গত শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ পিয়ারপুর রাস্তার বেগুনবাড়ী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান দোলন বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ জয়ের পর দেশে এসে আমরা কেউ ছাত্র কেউ বেকার হয়ে চাকুরীর সন্ধানে ঘোরাফেরা করতে থাকি। পরবর্তীতে আমরা কেউ চাকুরী করি কেউ ব্যবসা কেউবা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। জীবনের শেষ প্রান্তে চাকুরী থেকে অবসর কেউবা ব্যবসা বাদ দিয়ে বৃদ্ধ বয়সে এলাকায় অবস্থান করি। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এলাকায় ছড়িয়ে ছিটেয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ২০০৭ সালে একটি সমিতি করি। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অফিস করার জন্য বাজারে জায়গা চেয়ে ২০১০ সালে ময়মনসিংহ সদর এমপি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান সাহেবকে জানাই। পরবর্তীতে হাসপাতালের পিছনে সরকারী খাস জমিতে আমাদের অফিসের ঘর উঠানোর জন্য অনুমতি দেন। আমরা ২০১১ সালে অফিস ঘর তৈরি করি এবং ময়মনসিংহ সদর এমপি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান সাহেব এসে অফিস ঘর উদ্বোধন করেন। তিনি আমাদের ঘর তৈরির জন্য আর্থিক অনুদানও দেন। এছাড়াও অফিস চালানোর জন্য ছয়টি দোকান তৈরি করে দোকানের ভাড়ার টাকায় অফিস চালানোর ব্যবস্থা করে দেন। সম্প্রতি একটি স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ইন্ধনে মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গা বেগুনবাড়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবৈধ হস্তক্ষেপ করে দখলের পায়তারা করছে। বিক্ষোভ শেষে পথসভায় আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান দোলন বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আমরা কোন অবস্থাতেই আমাদের স্থাপনা ভাংতে দিবো না। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে কেনা এ মাটি যদি মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার না থাকে তাহলে আর কারো অধিকার নাই। প্রয়োজনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন নান্নু (সাময়িক অব্যহতি প্রাপ্ত) এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। হাসপাতালের বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে তবে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপনা ভাঙ্গা হবে না। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকরাম হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হাসপাতালের জমি মাপযোক করার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আর কোন আলোচনা হয়নি তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ০২ এপ্রিল, ২০২২/ মওম

- Advertisement -
- Advertisement -