মোহাম্মদ জুবাইর চট্টগ্রাম
মহানগরী এলাকায় পুলিশের অভিযানে তদন্ত ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রাইভেটকার যোগে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ০৪, উদ্ধার অস্ত্র,গুলি,ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার,ছুরি ছিনতাইকৃত লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয় ।
০৯/০২/২০২২ইং তারিখ সকাল ১০.১৫ ঘটিকার সময় বায়েজিদ থানাধীন বায়েজিদ লিংক রোডে পাকা রাস্তার উপর হইতে চেকপোষ্টে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে প্রাইভেটকার, অস্ত্র, গুলি, ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাহাদের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইকৃত লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয় ।গত ০৫/০২/২০২২ইং তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ০৬/০২/২০২২ইং তারিখ ১ম প্রহর রাত ০৩.২৫ চট্টগ্রাম ঘটিকার সময় বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোডে অক্সিজেন কাঁচা বাজারের হাফছা হানিফ মেডিসিন ওশান নামীয় ফার্মেসীতে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী প্রাইভেটকার যোগে এসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়া দোকানে থাকা ৬০-৭০ হাজার টাকা, ০১টি মোবাইল ফোন, ০১টি ট্যাব ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার মামলা নং-০৮,তারিখ-০৭/০২/২০২২ইং ধারা-৩৯২ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয়।অভিযানে মোঃ শাহ আলম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন), সিএমপি,চট্টগ্রাম এর নেতৃেত্বে মোঃ কামরুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ, মোঃ খাইরুল ইসলাম, এসআই/মোঃ আজহারুল ইসলাম সঙ্গীয় এসআই/রানা প্রতাপ বণিক, এসআই/ শাহ আলম, এএসআই/মোঃ আব্দুল মালেক, পিপিএম, এএসআই/মোঃ আল আমিন, সর্ব থানা বায়েজিদ বোস্তামী, সিএমপি, চট্টগ্রামসহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ বর্ণিত মামলারর ঘটনার তদন্তকালে ঘটনাস্থলের ও নগরীর বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রাইভেটকারটি নাম্বার সনাক্ত করা হয়। প্রাইভেটকারের সন্ধানের একপর্যায়ে জানা যায়, প্রাইভেটকারটি সীতাকুন্ড থানা এলাকা হইতে ছিনতাই করা হয়েছে এবং উক্ত ঘটনায় সীতাকুন্ড থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের সনাক্ত করার সম্ভবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামীদের ছবি নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুপ্তচরের সহায়তায় তথ্য সংগ্রহ করি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইং ০৯/০২/২০২২ তারিখ রাত ১০.১৫ ঘটিকার সময় বায়েজিদ লিংক রোডে ফৌজদার হাটের দিক থেকে আসা ছিনতাইকারীদের সহ প্রাইভেট কারটি বায়েজিদ লিংক রোডস্থ আরেফিন নগর ড্রামগেইট জনৈক জামাল এর টাওয়ার টিউব মেরামতের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর হইতে চেকপোষ্টে আটক করা হয় এবং তাহার কাছ থেকে প্রাইভেটকার, অস্ত্র, গুলি, ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাহাদের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইকৃত লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয় ।অপরাধ প্রক্রিয়াঃ- আসামীরা রাত ১০.০০ ঘটিকার পর মহানগরী এলাকায় যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে আসলে আসামীরা প্রাইভেটকার যোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী পথচারী ও জরুরী প্রয়োজনে খোলা থাকা বিভিন্ন দোকানে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা, গুরুতরপূর্ণ জিনিস, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। কেউ বাঁধা দিলে তাহাদের কাছে থাকা চাকু/অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।০৬/০২/২২ইং তারিখ রাত ১০.০০ টা পর হইতে তারা মহানগরীরর রাস্তায় প্রাইভেটকারসহ রাস্তার নেমে পড়ে। তারা সারা রাত নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে প্রায় ১০/১২ স্থানে ছিনতাই করে। রাত্রে পথচারীদের পথরোধ করে তাহাদের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছিনিয়ে নেয়।উদ্ধারকৃত মালামালঃ ১টি নেভী-ব্লু রঙের প্রাইভেটকার, যাহার রেজিঃ নং-চট্টমেট্রো-গ-১১-৩৯৫৬,কাঠের বাটযুক্ত লোহার দেশীয় তৈরি ওয়ান সুটার রাউন্ড কার্তুজ,১টি স্টিলের তৈরি টিপ ছোরা।একটি কালো রং এর ব্যাট রাখার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ,১০টি মোবাইল,০১টি ট্যাব।গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে ১। বেলাল হোসেন আসলাম (২৭) ২। মোঃ তানভীর ইসলাম রোকন উদ্দিন প্রকাশ রুকন (২৭) আহম্মদ ৩। মোঃ সোহেল ৪ । কামাল উদ্দিন প্রঃ মহিউদ্দীন (২৮) পিতা-মোঃ শফি আলম।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যাবস্থ্যা প্রকৃয়াধীন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম
- Advertisement -