আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডিমলায় বাড়ছে কিশোর অপরাধ

আরো খবর

পারভেজ রুবেল
ডিমলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর অপরাধ। এর মধ্যে সংঘটিত হয়েছে খুন, চুরি, ছিনতাই,অপহরন, ধর্ষণসহ বেশ কিছু ঘটনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই কিশোর বয়সের। কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকায় উপজেলার  বিভিন্ন বাজার, গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানগুলোতে কিশোরদের ধূমপানের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।সচেতন মহলের ধারণা, স্কুলগামী কিশোরদের হাতে দামি মোবাইল ও প্রযুক্তির অপব্যবহারে তারা জড়িয়ে পড়ছে খুন ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধে। তাছাড়া অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে বিপথগামী কিশোররা নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরিসহ জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে।মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এ উপজেলায় খুন,ধর্ষণ,চুরিসহ অপহরণের মতো বেশ কয়েকটি মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিশোরদের দ্বারা।জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নে পন্ঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে গনধর্ষন করে একই এলাকার ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র বুলু বাদশা(১৩) ও বাবু(১৬)। পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনি গ্রামে  সোহেল রানা(১৫) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে তারই এলাকার বন্ধু লাম (১৬) ও বাবু(১৫)। এ মাসেই নাউতারা ইউনিয়নে এক সুপারী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে ওই এলাকার একটি কিশোর গ্যাং।এ ঘটনায় লাম(১৬) নামের কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।এছাড়া ছিনতাই ও চুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। রাত হলেই এক শ্রেণির উঠতি বয়সী কিশোররা বিভিন্ন রাস্তা, বাসাবাড়িতে  মোবাইল,পানির পাম্পসহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরি,ছিনতাই করে  অবাধে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। এ ধরনের একের পর এক চুরির ঘটনায় যেকোনো সময় প্রাণহানী ঘটতে পারে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের আশঙ্কা। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৩-১৬ বছরের মধ্যে।সেই সঙ্গে মিডিয়ায় প্রচারিত বড় শহরগুলোর কিশোর গ্যাং এর সংবাদও উৎসাহিত করছে কিশোরদের। এখনি পদক্ষেপ না নিলে সাংস্কৃতিকভাবে ডিমলার ভবিষ্যতে সামাজিক নৈরাজ্যসহ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান ,সামাজিক অবক্ষয়,করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা ,  শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার অভাব,  মোবাইলে প্রযুক্তির অপব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহজলভ্যতা কিশোরদের বিভিন্ন অপরাধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গ্রামঞ্চলে অভিভাবকদের অসচেতনতায় কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে, আসক্ত হচ্ছে নেশায়। তারা নেশার টাকা জোগাড় করতে পা বাড়াচ্ছে অপরাধ জগতে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম
- Advertisement -
- Advertisement -