প্রতিনিধিম,নেত্রকোণা
নেত্রকোণার সদর উপজেলায় মেদনী ইউনিয়নের পশ্চিম উলুয়াটী এলাকায় পূর্বের শক্রতার জের ধরে ক্রিকেট খেলা কে কেন্দ্র করে ডেকে নিয়ে আহত করে দুজন কে। থানায় বাদি হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহতদের মা মনোয়ারা খাতুন।
মামলার আসামীরা হলেন ১। মোঃ বাবুল মিয়া (৫৫)পিতা-মৃত. মুক্তাল হোসেন মাস্টার, ২। মোঃ রবিন মিয়া (২২) পিত-মোঃ বাবুল মিয়া, ৩। মোঃ রাজিব মিয়া (২৩), ৪। মোঃ তোফায়েল হোসেন (২০), উভয় পিতা গাং-মোঃ শহীদ মিয়া, ৫। মোঃ রায়হান মিয়া (২১), ৬। মোঃ রাকিবুল হাসান ও রকি (১৯), উভয় পিতা-মোঃ মজিবুর রহমান, সর্ব সাং-পশ্চিম উলুয়াটী, সর্ব থানা ও জেলা নেত্রকোণা।মামলার সূত্রে জানা যায় যে, বিবাদীগণ বাদির প্রতিবেশী। উল্লিখিত বিবাদীগণ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়া শত্রুতা করিয়া আসিতেছে। পূর্ব শত্রুতার জের এবং ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করিয়া ১০ জানুয়ারি সকাল অনুমান ০৯:০০ বাদির বাড়ির সামনে এসে এ ঘটনা ঘটায় কিছুক্ষণ পূর্বে ৫নং বিবাদী বাদির ছোট ছেলে ১নং জখমী সাক্ষী ইমরান হোসেনকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে নেয় পরে ১নং বিবাদী মোঃ বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে সকল বিবাদীগণ বে-আইনী জনতাবদ্ধে বাদির ছেলেকে চারদিক থেকে আটকাইয়া ফেলে। ১নং বিবাদী বাবুল মিয়ার প্রত্যক্ষ হুকুমে ২নং বিবাদী রবিন মিয়া তাহার হাতে থাকা রড দিয়ে ইমরানকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাহার মাথায় সজোড়ে বারি মারিলে উক্ত বারিটি ইমরান তাহার বাম হাত দ্বারা ফিরানোর সময় বাম হাতের তালুর উল্টা নিয়ে পড়িয়া গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। সঙ্গে সঙ্গে ৩নং বিবাদী রাজীব মিয়া তাহার হাতে থাকা ব্যাট দিয়ে ইমরানের বাম হাতের কব্জি ও কনুইয়ের মাঝামাঝি স্থানে বারি মারিয়া গুরুতর হাড় ভাঙ্গা আহত করে মার খাইয়া মাটিতে পড়িয়া গেলে বিবাদি ৪নং মোঃ তোফায়েল ও ৫নং মোঃ সায়হান মিয়া তাহাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া এবং ৬নং বিবাদী মোঃ রাকিবুল তাহার হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে ইমরানকে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত ও কিল ঘুষি লাথি মারিয়া শরীদের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফোলা জখম করে। ছেলে ইমরান এর আত্মচিৎকার শুনে বাড়ি হতে বের হয় বাদির বড় ছেলে ২নং সাক্ষী ইয়াসিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীদের কবল হইতে ইমরানকে বাঁচানোর চেষ্টা করিলে সকল বিবাদীরা ইয়াসিনকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফোলা জখম করে। ইমরান ও ইয়াসিনের ডাক-চিৎকার শুনিয়া আশে-পাশের অন্যান্য সাক্ষীগণসহ পরও অনেকেই ঘটনাস্থলে আসে ফিরাইলে ও বিবাদীগণ পরবর্তী সময়ে সুবিদাজনক স্থানে পাইলে মারপিট করিয়া নিশ্চিত খুন করিয়া ফেলিবে বলিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। ইমরানের এই অবস্থা দেখিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ ঘটনার বিস্তারিত জানিতে পারি। উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় বড় ছেলে ইয়াসিনকে স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়া ছোট ছেলে ইমরানকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মনোয়ারা খাতুন জানান, ঘটনা আগের দিন রাতে ছেলে ইমরানকে খেলার মাঠ কাটা সন্দেহ করে নিয়ে যায়। সে এ কাজ করেনি বলার পরেও তর্কবির্তক হয়,আবার সকালে ইমরান মূখ ধোঁয়া উদ্দেশ্যে বের হলে ডাকে তখন সে কাছে গেলে কোন কথা না বলেই ৪-৫ জনে রড, ব্যাট দিয়ে মার শুরু করে, তার চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ এসে তাকে বাঁচায়। এতে ইমরানের বাম হাত ভেঙে যায়,বড় ছেলেকে ও আহত করে।এদের সুস্থ বিচার দাবি করেন। এমামলার দায়িত্ব থাকা সদর থানার এস আই সাদ্দাম হোসেন জানান, সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রুজু করে আলাদতে পাঠানো হয়েছ
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ জানুয়ারি২০২২/মওম
- Advertisement -