আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৭ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যুবদল নেতার মারপিটে পা হারানো সেই প্রতিবন্ধী মেহেদীর মৃত্যু

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

প্রতিনিধি,শাজাহানপুর

বগুড়ার শাজাহানপুরে যুবদল নেতার মারপিটে পা হারানো মানসিক প্রতিবন্ধী মেহেদী হাসান ওরফে রাজু (৩০) মারা গেছেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে ৫ অক্টোবর বিকেলে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। নিহত মেহেদী হাসান উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের শাহনগর বিলায়েতপাড়া গ্রামের দিনমজুর আজাহার আলী ওরফে রাজামিয়ার ছেলে।জানা গেছে, মেহেদী হাসান মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় তিনি ঝোঁপ-ঝাড়ে বাঁশের কঞ্চির খুঁটি গেড়ে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে ঘর তৈরি করে খেয়াল খুশি মত থাকতেন। গত ২০ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেহেদী হাসান বাড়ির অদূরে বাঁশঝাড়ের ভিতর গিয়ে দেখেন তার ঝুপড়ি ঘরে বসে শাহনগর ডাক্তারপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য একাধিক নাশকতা মামলার আসামি মারুফ হোসেনসহ ৪-৫ জন আড্ডা দিচ্ছে। তখন তাদেরকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বললে যুবদল নেতা মারুফ হোসেন তার ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরের দিন ২১ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে যুবদল নেতা মারুফ হোসেন লাঠি দিয়ে প্রতিবন্ধী মেহেদী হাসানকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। একপর্যায়ে পিটিয়ে ডান পায়ের হাঁটুর নীচে থেতলে ভেঙ্গে ফেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন সময়ে বেশ কয়েকবার অস্ত্রপাচার করার পরও পায়ের মাংস পচে খসে পড়তে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ৫ অক্টোবর বিকেলে হাঁটুর উপর পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার রাত ১২ টার দিকে মেহেদী হাসান মারা যান। এর আগে মারপিটের ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।ওই মামলায়  মারুফ হোসেন আদালতে  জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান। শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রথমে মারপিটের মামলা হয়েছে। এখন হত্যা মামলা হবে। মরদেহের পোস্টর্টেম শেষে স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

 

- Advertisement -

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

- Advertisement -
- Advertisement -