আজ বুধবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৬ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্বামীকে নাম ধরে ডাকা যাবে কি?

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

ধর্ম ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে কীভাবে ডাকবেন, এ নিয়ে আমাদের সামজে বেশ সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের দেশের গ্রাম-গঞ্জে সাধারণত স্ত্রীগণ স্বামীকে সম্মানসূচক বিভিন্ন পদ দ্বারা সম্মোধন করে থাকেন।আবার শহরাঞ্চলে অনেকে স্বামীকে নাম ধরেই ডাকেন।এ নিয়ে অনেকের  মনে প্রশ্ন জাগে , স্বামীকে নাম ধরে ডাকা যাবে কি না?

আসলে  বিষয়টি সামাজিক রীতিনীতি, ভদ্রতা, প্রচলন ও পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। যেখানে নাম ধরে ডাকাকে অসম্মানজনক ও অসুন্দর মনে করা হয় না, সেখানে নাম ধরে ডাকলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যেখানে এটিকে সম্মানহানি ও বেয়াদবি মনে করা হয়, সেখানে নাম ধরে না ডাকা উচিত।

আরব দেশে নাম ধরে ডাকার প্রচলন ছিল, এতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হতো না। সেজন্যই তাদের কেউ কেউ ডাকতেন। কিন্তু আমাদের অবশ্যই বিষয় স্বীকার করতে হবে যে, স্বামীর খেদমত করা প্রত্যেক নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। অন্যদিকে স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান স্বামীর কর্তব্য ও দায়িত্ব।

সুতরাং সম্মান প্রদর্শনার্থে অবশ্যই স্বামী, পিতা, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর সম্মানিত ব্যক্তিদের নাম ধরে ডাকা নিষেধ। তবে কোনো প্রয়োজনে স্বামীর নাম মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা যাবে না— ব্যাপারটা এমন নয়। বরং প্রয়োজনে যেকোনো সময় স্বামীর নাম উচ্চারণ করা যাবে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন  ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম তার স্ত্রী হাজেরা এবং শিশু পুত্র ইসমাইলকে মক্কার জনমানবহীন প্রান্তরে রেখে চলে যাচ্ছিলেন— তখন পেছন থেকে তাঁর স্ত্রী তাকে ডাকলেন এভাবে, ‘হে ইবরাহিম, তুমি আমাদের এমন জনমানবহীন উপত্যকায় রেখে কোথায় যাচ্ছ?’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩৬৫)।

- Advertisement -

এছাড়াও বিভিন্ন দেশে স্বামীর নাম ধরে ডাকার প্রচলন রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে সামাজিক নিয়ম-নীতি, সম্মান ও ভদ্রতার প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি।

 

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

- Advertisement -
- Advertisement -