আজ সোমবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৪ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মিথ্যা মানববন্ধন এর সাথে জড়িতদের তিনদিনের ভিতরে ক্ষমা চাইতে হবে : বেনজির আহমেদ

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

প্রতিনিধি,ধামরাই

ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের সাংসদ বেনজির আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকুকে জড়িয়ে অবৈধ মানববন্ধনের আয়োজকদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিতে বলা হয়েছে। অন্যতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিআরি দেন এমপি বেনজির আহমদ। বুধবার (৬অক্টোবর) বেলা ১১টায় ধামরাই প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজনকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ধামরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেককে দায়ী করে এসব হুঁশিআরি দেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের সাংসদ বেনজির আহমেদ।

তিনি বলেন, ঢাকার অতি নিকটে ধামরাই এলাকাটি ব্যবসা বান্ধব। এখানে অনেকে ব্যবসা করতে আসেন।ব্যবসায়ীদের কাছে কেউ চাঁদা চেয়ে হয়রানি করলে চাঁদাবাজদের দমন করতে হবে। একইসাথে ব্যবসা করতে এসে যদি কেউ অপরাধ করে সেটাকেও কঠোরভাবে দেখতে হবে।

- Advertisement -

ধামরাইয়ে আকসির নগরে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, ওই কোম্পানির জায়গাকে ঘিরে একটি রাজনৈতিক চক্র সক্রিয় হয়েছে। তারা আমার নাম ভাঙ্গিয়েও চাঁদাবাজি করেছিলো। এজন্য ফরমও ছাড়া হয়েছিলো। পরে পুলিশ চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়।

আকসির নগরের সঙ্গে সাংসদের সম্পর্কের বিষয়ে এই নেতা বলেন, আকসির নগরের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। আর কেউ ব্যবসা করতে আসলে তাকে নিয়ে মাথাব্যথার কিছু নেই।

আকসির নগরের সঙ্গে বিএনপি জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে বেনজির আহমেদ বলেন, তেমন কিছু পাওয়া গেলে তো প্রশাসন ব্যবস্থা নিতো। স্থানীয় ভাবেও আকসির নগরের কেউ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে কিনা সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে। একটি চক্র সক্রিয় হয়ে কাজগুলো করছে। আমি বলবো তারা যে অপরাধ করেছে সেজন্য তারা ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিক। আগামী তিনদিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

বিক্ষোভ মিছিল এবং সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির মোল্লা জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংসদ বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের কিছু ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের দেখান।সেখানে মানববন্ধনে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি তাদের সাক্ষাৎকারে ধামরাই সাবেক সাংসদ এম এ মালেকের কর্মী হিসাবে পরিচয় দেওয়ার মানববন্ধনটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সুনাম নষ্ট করার জন্য আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু বলেন, আকসির নগর আবাসিক প্রকল্প সর্ম্পকে আমাদেরকে কেউ জানায়নি। কারণ আকসির নগর আবাসিক প্রকল্পটি হয়েছে সাবেক এমপি এ এম মালেকের সময়। তাই যারা বর্তমান এমপি ও আমাকে নিয়ে যড়যন্ত্র করে মিথ্যা মানববন্ধন করেছে তাদের শাস্তি দাবি করছি।

এ সময় ধামরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. সোহানা জেসমিন মুক্তা, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সানোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. খালেদ মাসুদ লাল্টু, কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কালিপদ সরকারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের আকসির নগর আবাসিক একটি প্রকল্পের নামে জোর করে জমি দখলের বিষয়কে কেন্দ্র করে ধামরাই আসনের মাননীয় এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বেনজির আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকুর পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে কুল্লা ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক মানুষ।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

 

- Advertisement -
- Advertisement -