আজ মঙ্গলবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৫ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নেত্রকোণায় নদীপথে ভাসমান নৌকা থেকে চাঁদা আদায় 

-Advertisement-

আরো খবর

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

নেত্রকোণার সোমেশ্বরী, কংস, মগড়া ধনাই খালী ধনু ইত্যাদি নদী রয়েছে। যাদের বেশির ভাগ নদী দিয়ে বালু বাহিত নৌকা চলাচল করে। দুর্গাপুর সোমেশ্বরী নদী হতে প্রতি বছরেই   লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকার বালু আমদানি-রপ্তানি কাজে বিভিন্ন জায়গা থেকে নৌকা আসে। নেত্রকোণার দুর্গাপুর হতে  বালু  নিয়ে চলাচল এর নৌকা প্রায় ১৫০-২০০। বর্তমানে  নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নৌকার সংখ্যা  কমে গেলে ও চাঁদা আদায়  থামেনি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী  সরকারি ইজারা  নদীর ঘাট  ব্যতীত কোন টাকা আদায় করতে পারবে না কিন্তু নেত্রকোণায় কিছু নামে-বেনামে  সংগঠন   উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘাট চালু করে ৫০০-১০০০ টাকা  আদায় করে তাকে।  কমিটিগুলো  কিভাবে চলছে জনমনে প্রশ্ন।  এ কমিটি বা আদায়কৃত ঘাট গুলো পরিচালনায়   নেই কোনো বৈধতা। সংগঠন গুলো হল নেত্রকোণা ইঞ্জিন চালিত নৌ- যান শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ( বি আই ডব্লিউ টি এ) ,  নৌ-যান মালিক সমিতি ইত্যাদি। দূর্গাপুর থেকে  শুরু করে জামধলার, ডেউঢুকোন, মশুয়া বড়ওয়ারী, ঠাকুরাকোণা আটপাড়াসহ  খালিয়াজুড়ি এলাকায় চলে দিনে দুপুরে চাঁদা আদায় । প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেন অনবরত তাদের এমন   কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরে তবে বেশির ভাগ নৌকার মালিকানা  বহিরাগত হওয়ায় কোন প্রতিবাদ  করতে পারে না আর যদিও প্রতিবাদ করে তাহলে তাদের মারধোর  করে জোরপূর্বক  চাঁদা আদায়  করে।সচেতন মহলের সাথে  কথা বললে তারা জানায়, নেত্রকোণার নদী পথে ব্যাপক পরিমাণে চাঁদা আদায় করছে। যা অন্যায় ও অবৈধ।কিন্তু প্রশাসন   জেনে তো কোন কিছু  ব্যবস্থা নিচ্ছে  না। অন্যায় কে  প্রশ্রয়  দেওয়ার মতো অবস্থা । প্রশাসনের  সুদৃষ্টি  কামনা  করছে বলে ও জানায়। আরও বলেন এর সাথে  নেত্রকোণা বড় বড় নেতা কর্মী জড়িত  রয়েছে। নৌকা চালকরা বলেন,সোমেশ্বরী,   কংস, মগরা  ৬ থেকে ৭ স্থানে ৫০০ থেকে হাজার  টাকা  পর্যন্ত  দিতে হয়, না দিতে চাইলেও জোরে নিয়ে যায়। যদি প্রতিবাদ করে  তাহলে মারধর করতে চায়,  যার কারণে ভয়ে  তারা চাঁদা দিতে বাধ্য  হন। প্রশাসন কে  আগে অনেক বার বলেওকোন লাভ হয়নি  দেখবে দেখবে বলে  কিন্তু  দেখে আর না।তারা বড় বিপদে আছে  বলেও জানান। এদিকে বাংলাদেশ  অভ্যন্তরীণ  নৌ পরিবহন কতৃপক্ষের   ইজারাদার  সানজিদার সাথে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে  নেত্রকোণা -৫ আসনের এমপি বা তার পিএসের সাথে  কথা  বলার জন্য বলে। এদিকে নেত্রকোণা জেলা কমিটির সভাপতি  মোশাররফ হোসেন খান পাঠান জসিম  বলেন, সকল  কার্যক্রম প্রত্যেক  জেলা উপজেলার প্রশাসনের  কর্মকর্তারা ও ওসি সহ তাদের অবগত আছে। উদ্ধোধনের মাধ্যমেই এ শল্ককৃত আদায় করা হচ্ছে। নেত্রকোণা নৌ যান শ্রমিক ইউনিয়ন  সাধারণ সম্পাদক  রতন জানান, তাদের কমিটি নিবন্ধন  আছে এবং  বৈধতার সাথেই তা আদায় করছেন। জেলা প্রশাসক  এ ব্যাপারে  অবগত আছেন কি না তা জানতে  জেলা প্রশাসকের সাথে  যোগাযোগ করার জন্য  ফোন দিলে তিনি  ধরেননি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৫অক্টোবর,২০২১/ এইচ
- Advertisement -
- Advertisement -