আজ বুধবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৬ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ন্যায়পরায়ণ শাসক হজরত ওমর ( রা. )

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

ধর্ম ডেস্ক: নবিজি (সা.)-এর পরশ পেয়ে পৃথিবীর বুকে যারা আলো  ছড়িয়েছেন,নীতি-নৈতিকতা  ও সভ্যসংস্কৃতির জন্ম দিয়েছেন,  হজরত ওমর (রা.) তাঁদের অন্যতম।ইসলামের প্রাথমিক যুগে মানবতার নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)  যখন কুরআনি আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেন, ঠিক সে সময়ই হজরত ওমর (রা.) ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে হুজুরের হাত শক্তিশালী করেন। পরবর্তীতে হুজুরের ইন্তেকালের পর সিদ্দিকে  আকবর (রা.)-এর খেলাফত শেষে হজরত ওমর রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেই গোটা বিশ্বে  ইসলামের শান্তিময় দাওয়াত ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পাশাপাশি তার শাসনাধীন এলাকায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের দুঃখ-দুদর্শা দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ইসলামের যে স্বর্ণযুগের কথা ইতিহাসের পাতায় আমরা পড়ি, তার বেশিভাগই হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনকালে ঘটেছে। তার শাসন আমলে পৃথিবীর বেশিভাগ অঞ্চলেই ইসলামের সুমহান বাণী ছড়িয়ে পড়ে। তার শাসনব্যবস্থাকে বিভিন্ন সময় ইতিহাসবিদরা নানাভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি যে শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন পরে আর কোথাও এত সাম্য এত শান্তিময় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে সমালোচকরাও স্বীকার করেছেন।দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে নিজের স্নেহের পুত্রকে পর্যন্ত ছাড় দেননি হজরত ওমর। কোনো ধরনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি স্পর্শ করতে পারেনি তাকে এবং তার কোনো প্রতিনিধিকে। হজরত ওমর নিজে খাদ্যসামগ্রীর বস্তা কাঁধে চাপিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। গভীর রাতে মানুষের খোঁজ নিতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। তিনি বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর, দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে কঠোর নির্দেশ দিতেন যেন ন্যায়বিচার ও সাহায্য পেতে সাধারণ জনগণ হয়রানির স্বীকার না হয়। অন্য ধর্মের অনুসারীরা যেন কোনোভাবেই ন্যায়বিচার বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে ছিল আরও কঠোর নির্দেশ। ফলে সবখানে বিরাজ করছিল শান্তির বাতাস। মানুষের মাঝে ছিল ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দের প্রশান্তিময় পরিবেশ।

 

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

- Advertisement -
- Advertisement -