চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বাকলিয়া থানার বৌবাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া ও মসজিদের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সংঘটিত এ সংঘর্ষের ঘটনায় টানা নেতৃত্ব দেয় মকবুল হােসেন ও জাকির হােসেন প্রকাশ ( বোমা জাকির )। গ্রেফতাকৃতরা হলেন মকবুল হােসেন , জাকির হােসেন প্রকাশ বোমা জাকির , শহীদ মিয়া , সােহাগ , ফয়সাল , আনােয়ার হােসেন , রবিউল ও ইয়াবা খােকন, খোকনের মা এক সময় সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন এর বাসায় গৃহ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তারা সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা। এলাকাবাসী জানায় , বাকলিয়া বৌ -বাজার পােড়া কলােনি এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মকবুল গ্রুপ ও বোমা জাকির গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকাবাসীসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। জানা যায়,ওই এলাকার বসবাসরত ভাড়াটিয়া আহত মকবুলের সাথে জায়গার মালিক জাকিরের এক সময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এলাকার এক মসজিদের সংস্কারের জন্য পাড়া প্রতিবেশি থেকে চাঁদা নিয়েছে তারা। মকবুল মসজিদ কমিটির অর্থসম্পদকের দায়িত্বেও আছেন। এসব চাঁদার টাকা মকবুলের কাছে রাখা হয়। পরবর্তীতে এই চাঁদার ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে মকবুল রিকশা কেনেন। এসব টাকা ফেরত চাইতেই বাঁধে বিপত্তি। এ নিয়ে এক মাস ধরে জাকিরের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপােড়েন চলছে। তারা দুইজনই বিএনপি সমর্থক বলেও জানান এলাকাবাসী। আবার একই এলাকার কিছু লােক বলেছেন অন্য কথা। তারা বলেন, মকবুল ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। শুধু সে নয় ,তার পরিবারের সকলে এ এলাকায় মাদক ব্যবসা করে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। তার ভাই এরশাদ , ভাইপাে নজু মিয়া , শালা খােকন , ভাতিজি জামাই মাে . ইউনুসসহ অনেকে এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। এ বিষয়ে ভূমি মালিকদের পক্ষে জাকির তাদের নাম উল্লেখ করে কাউন্সিলর ও থানায় অভিযােগও দিয়েছেন ।
সংঘর্ষে আহত পরিবারের একজন বলেন , মকবুল ও জাকির গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে দা, ছুরি, কিরিচ দেশীয় বন্দুক, নিয়ে মকবুল গ্রুপকে মহড়া দিতে দেখা যায়। তারা সন্ধ্যার দিকে মারামারিতে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে আমাদের কলােনির গেইট টপকে এসে রফিক ও তার ছেলে নুর মােহাম্মদকে উপর্যপরি মারধর করে। এক পর্যায়ে রফিকের পেটে ও দুই হাতে ছুরিকাঘাত করে। এতে রফিকের হাতের রগ কেটে গেছে। এসব ঘটনা গ্যাসের চুলার পাশে হওয়াতে চুলায় থাকা গরম পানি পড়ে বেশ কয়েক জন ঝলসে যায়। মকবুলের ভাড়াবাসার মালিক তাহের প্রতিবেদক কে বলেন, মকবুল একটি প্রইভেট প্রতিষ্ঠানে লেবারের কাজ করে। কিন্তু তার বাসায় প্রায় সময় প্রশাসনের বিভিন্ন লােকের আনাগোনা থাকে। মকবুলের পাশাপাশি অন্যান্য ভাড়াটিয়ার অভিযােগ হচ্ছে রাত ২টা বাজেও তার বাসায় বিভিন্ন মানুষের সােরগােল থাক। তাদের আত্মীয়দের বেশিরভাগ এই এলাকায়। বসবাস করায় সে খুব দাপটের সাথে চলাফেরা করে। তার শালা খােকন রাসেল দুইজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলাও রয়েছে তাদেরকে ইয়াবা সর্বজ্ঞ সরবরাহ করেন মনির হোসেন কেহেরমান মনির হোসেন কেহেরমান এর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু কিছুদিন আগে সে মকবুলের বাসায় যাতায়াত করায় আমি মকবুলকে এ বিষয়ে অবগত করে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছি। কিন্তু তারপরেও তার শালা বেশ কয়েকবার এসেছিল। তিনি আরাে বলেন , তাদের অত্যাচারে ভূমি মালিকদের পক্ষে কাউন্সিলর ও থানায় অভিযােগ দিয়েছিলাম।
এতে কমিশনার ভূমি মালিকদের বলেন, এমন মাদক ব্যবসায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ১মাসের মধ্যে ঘর ছাড়ার নির্দেশ দিতে। আমি কাউন্সিলরের আদেশে তাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলেছি। কিন্তু সে ঘরও ছাড়ছে না। সে এসব বিষয় নিয়ে ২মাস ধরে পলাতক আছে , তার স্ত্রী বাসায় একা থাকেন।
আমার ১ মাসের ঘরভাড়াও আটকে রেখেছে সে। বাকলিয়া জোনের এসি কামরুল ইসলাম বলেন ,মারামারি ঘটনায় দুই পক্ষের ১০ জনকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত চলমান রয়েছে। এতে আর কারাে। সম্পৃক্ততা পেলে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও এলাকাবাসী বেশ কয়েক জন জানান বৌবাজার এলাকায় মাদক কারবারিদের বর্তমানে খুব দাপট তাঁর মধ্যে রয়েছে আবু মোঃ মোরশেদ , তারই আত্মীয় নাঈম , মাসুম , মনির হোসেন কেহেরমান, মামুন, রাসেলসহ বেশ কয়েক জন তাঁরা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বিধায় সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পায় , মোর্শেদ ও নাইম কে বেশ কয়েক বা প্রশাসন খুঁজতে গেলে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় , বর্তমানে মুরশেদ নিজেকে কথিত যুবলীগের বড় নেতা দাবি করেন। বাকলিয়া চকবাজার শান্তি নগর ডিস ব্যাবসা , কবর স্থান দখল , জায়গা দখল নিয়ে বেশ কয়েক বার অস্ত্র প্রদর্শন হলেও কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার হলেও উদ্ধার হয়নি বেশীরভাগ অস্র এবং এখনো গ্রেফতার হয়নি কিশোর গ্যাং লিডার , সাধারণ জনগণ এঁদের থেকে পরিত্রাণ পেতে অনুরোধ জানান। ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান বাকলিয়া জোনের এসি কামরুল ইসলাম।
আলোকিত প্রতিদিন /৩রা জুলাই /২০২১ / এম এইচ সি
- Advertisement -