আজ শনিবার, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৯ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে বাজারদর নিয়ে আতঙ্কে গরু খামারীরা

-Advertisement-

আরো খবর

প্রতিনিধি, বরিশাল:
বরিশালে ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক গরুর খামার। এজন্য খামারিরা ঈদুল আযহা উপলক্ষে গবাদিপশু মোটা তাজা করার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।  ঈদুল আযহায় করোনা আতঙ্কে গরু হাটে বিক্রি করা ও বাজার দাম নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছেন গরুর খামারিরা। জানা গেছে,  বরিশালে  ছোট বড় অসংখ্য গরু মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে । এখন শুধু ঈদুল আযহার অপেক্ষায় দিন গুণছে এলাকার গরুর খামারীরা।  বরিশালে, বাবুগন্জ শিকারপুর, রাকুদিয়া,রহমতপুর,গুয়াচিত্রা, গৌরনদীসহ  বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়ন এর রাহুত কাঠি  গ্রামের মৃত্যু  মোবারেক আলীর ছেলে খামারী মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, তার খামারে ‌৮ টি গরু আছে যাহার প্রতিটির মূল্য ১ লক্ষ্য  টাকা থেকে শুরু করে ৫লক্ষ টাকা পর্যন্ত।  ব্যবসায়ী মোঃ নাজমুল হাসান ব্যাবসার পাশাপাশি তিনি প্রায় ৫ বছর যাবৎ গরু লালন-পালন করে আসছেন। গত বছরও বেশ কয়েকটি গরু ছিল, যা বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি ভালো টাকা লাভ হয়েছিল। বর্তমান তিনি ৮টি গরু পালন করছেন। এছাড়াও কেমিষ্ট এগ্রোবায়োটেক লিমিমিটেড, রেইন্ট্রিতলা,বরিশাল এর ব্যবস্হাপক মোঃ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, তাদের খামারে ২০০ গরু আছে, যা সামনে কোরবানি ঈদের জন্য পালন করা হচ্ছে। এখানে সর্বনিম্ন ২ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গরুর দাম আছে। কিন্তু করোনার কারণে বাজারে ভাল দাম মিলবে কিনা এই আতঙ্কে আছেন। এসব খামারে ব্রোহমা, শাহিওয়াল,  ফ্রিজিয়ানসহ কয়েকটি জাতের ষাড় গরু  আছে। তাদের মতো  খামারিই ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত এখন প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে। গবাদিপশুর খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাসের পাশপাশি খৈল, ভুসি ও খড়জাতীয় বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করছেন তিনি। এ বিষয়ে  বরিশাল বিভাগীয়  প্রাণিসম্পদ অফিসার বলেন, খামারীদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করে আসছি। তাদের পালনকৃত গবাদীপশু নিয়ে যে কোন সমস্যায় প্রাণী সম্পদ বিভাগ সব সময় পাশে থাকবে। সুতরাং করোনা পরিস্থিতিতে গরুর দাম এবং হাট বন্ধ হওয়া নিয়ে টেনশন বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ
- Advertisement -
- Advertisement -