আজ শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ২০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাহাড়ে কিলিং মিশনে নেমেছে উপজাতি সন্ত্রাসী দলগুলো

-Advertisement-

আরো খবর

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১৯৯৭ সালে জেএসএসের অস্ত্র সমর্পণের সময় চুক্তির বিরোধিতা করে অস্ত্র সমর্পণ না করে তাদেরই একটি বড় অংশ জেএসএস থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইউপিডিএফ নামে নতুন সংগঠন গড়ে তোলে। যা পুনরায় ভেঙ্গে হয় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক বর্মা। এরপর স্বার্থগত দ্বন্দ্বে জেএসএসও ভেঙে জেএসএস (এমএন লারমা) নামে নতুন আরো একটি সংগঠন তৈরি হয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল গুলো পাহাড়ে বসবাসকারী সাধরণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করে বিপুল অংকের চাঁদা। তা দিয়ে সশস্ত্র গ্রুপকে শক্তিশালী করছে দিনের পর দিন। সীমান্ত দিয়ে গোপনে বিদেশ থেকে কেনা হচ্ছে ভারি, দামি দামি অত্যাধুনিক অস্ত্র। সামরিক আদলে কাঠামো তৈরি করে নিজেদের সংগঠিত দল’কে গুছিয়ে ত্রাসের রাজত্ব করছে পাহাড়ে। হঠাৎ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জেএসএস, ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কারপন্থি গ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন  গত কয়েক মাস থেকে পাহাড়ে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার মত কারোও সাহস নেই। যদি জানতে পারে কেউ অভিযোগ করেছে- তাহলে পরের দিন অপহরণের পর গুম বা খুন করে তার লাশ ফেলে দেয়া হচ্ছে পাহাড়ের কোন না কোন ঝিরিতে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এসব খবরের শতকরা ১% ও পত্র পত্রিকা অথবা  বেশিরভাগ সময়ই মিডিয়ায় আসে না। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সংগ্রহ করছে। আর অস্ত্র কেনা ও নিজেদের সংগঠন চালানোর জন্য তারা চাঁদা আদায় করছে সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ফলে  জিম্মি হয়ে পড়েছে তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ মানুষ। প্রাণের ভয়ে তারা কেউ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যান না। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের রয়েছে প্রায় ১৫-২০ হাজার’ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। তাদের অধীনে রয়েছে সামরিক কায়দায় ৬টি কোম্পানি। জেএসএস (সংস্কার) এর রয়েছে ২টি কোম্পানি। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর সংখ্যা প্রায় পৌনে ৩হাজার ’। আর  ইউপিডিএফ এর ৪টি কোম্পানির অধীনে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার’ সশস্ত্র সদস্য। এদের রয়েছে নিজস্ব সেনা প্রধান, আলাদা আলাদা কোম্পানি, বিভিন্ন উইং, শরীরে থাকে সেনাবাহিনীর পোশাক, হাতে অত্যাধুনিক ওয়াকিটকি, কাঁধে চকচকে ভারি ও দামি অস্ত্র। তারা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে তাদের বসবাস সবচেয়ে বেশি। বেশ কিছুদিন যাবত পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাঙ্গালি সহ সাধারণ জনগনের উপর অত্যাচার ও চাদাঁ আদায়ের জন্য বেপরোয়া হয়ে গুম খুন অপহরন করে চলছে প্রতিনিয়ত।
” উপজাতি সন্ত্রাসী দলগুলো থেকে সহযোগিতা নিয়ে অনেকে এমপি মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে”। বিশেষ কিছু সুত্রে জানা যায় তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় সন্ত্রাসী দলগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যা শৈহ্লা মার্মার নেত্রীত্বে মায়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু বিপদগামী পাহাড়ি ছেলে মেয়ে’কে দিয়ে মগ লিবারেশন ( মগ পার্টি) ও এলপি নামে দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী বান্দরবানে ত্রাসের রাজত্ব করছে।
আলোকিত প্রতিদিন /১লা জুলাই /২০২১ / এম এইচ সি
- Advertisement -
- Advertisement -