রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের কাউনিয়া ও হারাগাছের বিভিন্ন বাজার থেকে হঠাৎ নাপা গ্রুপের ওষুধ উধাও হয়ে গেছে। সাধারণ জ্বর নিরাময়কারী ওষুধ নাপা। বেক্সিমকো কোম্পানির নাপা, নাপা এক্সট্রা, এক্সটেন্ড ও সিরাপ গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ওষুধের দোকানদার ও গ্রাহকরা। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ঠান্ডা ও জ্বরের ওষুধ নাপা গ্রুপের কোন ওষুধ চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। কাউনিয়া উপজেলা ও হারাগাছ পৌরসভার অনেক ওষুধের দোকানদার এমন তথ্য জানিয়েছেন। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। এছাড়া রংপুর ও আশপাশের জেলায় করোনার অত্যধিক প্রকোপে সাধারণত জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধের চাহিদাও বেড়েছে ব্যাপক হারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহর ও গ্রামের মানুষ ঠান্ডা-গরম লাগার কারণে ঘরে ঘরে জ্বর, খুসখুসে কাঁশি ও ঠান্ডা-গরমে আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে জ্বরের জন্য নাপা, ঠান্ডা-গরম লাগলে ফেকসো খেতে বলছেন। অথচ বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ফেকসো ওষুধ পাওয়া গেলেও নাপা গ্রুপের কোন ওষুধ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। দূরদুরান্তের মানুষ ওষুধ কিনতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। ওষুধ না পাওয়ায় তাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। হারাগাছের রশিদ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আব্দুর রশীদ জানান, বাড়ির সবার ঠান্ডা, জ্বর ,সর্দি যাদের বা যাদের পরিবারে আছে তারা ছাড়াও করোনার ভয়ে অনেকেই নিয়মিত বেক্সিমকো গ্রুপের তিন ফর্মূলার ওষুধই কিনছেন।সকলে পাতা আকারে কিনছেন । আবার মিলছেনা ডাক্তার প্রেসক্রিপশন করা জ্বরের আরেক ওষুধ রিসেটও।
এক ক্রেতা জানান ,কয়েক দিন ধরে জ্বর ও নাক দিয়ে পানি পড়ছে তাই নাপা কিনতে এসেছিলাম। কোন ফার্মেসিতে পাই নি। তবে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নাপার প্রতি এতো চাহিদা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনলাইনে করোনার জরুরি ওষুধের মধ্যে নাপার নাম দেখেছেন। একারণে নাপা কিনতে এসেছেন তিনি। আরেক ক্রেতা বলেন সাধারণ জ্বরে নাপা গ্রুপের ওষুধ সেবন করি এটা আমি ও আমার পরিবার দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছি এবং তাতে সেরে যায়, তাই প্রতি এটার আস্থা বা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। দুর্যোগময় সময়ে যদি ওষুধ পাওয়া না যায় তাহলে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই না। ফার্মেসির মালিক ফারুক বলেন, নাপা গ্রুপের ওষুধ মানুষ বেশি খাচ্ছে। এ কারণে নাপা গ্রুপের ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে নেই। কোম্পানি সাপ্লাই দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। অন্যান্য কোম্পানির প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দোকানে রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার আতিকুর রহমান আরাফাত বলেন, বাজারে যদি নাপা ওষুধের সংকট দেখা দেয় তাহলে প্যারাসিটামল বা অন্য কোম্পানির ওষুধ খেতে পারবে। তাতে জ্বর বা ঠান্ডা-গরম লাগলে তা ভালো হয়ে যাবে। এছাড়া এক সপ্তাহে ভালো না হলে রক্তের পরীক্ষা ও করোনা টেস্ট করাতে হবে এবং অন্যান্য উপসর্গগুলোও লক্ষ্য করতে হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ জুন, ২০২১/ এম এইচ সি
- Advertisement -