আজ শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ২০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন আসাদুজ্জামান খান

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

বিশেষ প্রতিনিধিঃ হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল হেফাজতে ইসলাম। আন্দোলনকারীদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে রোববার হরতাল পালন করছে সংগঠনটি। হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকার দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ও সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজসহ তিন দিন কতিপয় উশৃঙ্খল ব্যক্তি, গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে চলছে। যার মধ্যে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সরকারি ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি, রেল স্টেশন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাড়িঘর, প্রেস ক্লাসবসহ মানব সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছেন। এ জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি সকল প্রকার উশৃঙ্খলতা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণের জানমাল, সম্পদ রক্ষর্থে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।’

শুধু কি হেফাজতই বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালাচ্ছে, নাকি এর পেছনে অন্য কেউ আছে— জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন এটা থাকতে পারে। আমার কাছে মনে হচ্ছে তাদের রণ কৌশলগুলো…বাঁশের কেল্লা ইনভলব (যুক্ত) হওয়া, এখানে মনে হচ্ছে, এটা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়, এগুলো হয়তো আগে যে জঙ্গি সংগঠনগুলো সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য প্রয়াস পেয়েছিল, তারাই এখানে আবার নতুনভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে আমাদের মনে হচ্ছে। সবকিছু আমরা খতিয়ে দেখছি। যে যেখানে থাকুক আমরা কাউকে ছাড় দেব না।’

- Advertisement -

জঙ্গি সংগঠন বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন— এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগেও আপনারা দেখেছেন, কিছু জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে মদদদাতা রয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কিছু অদৃশ্য…যখন আমরা সুতা ধরে টান দিই, এসব জঙ্গি সংগঠনের নেতাগুলো আগে জামায়াত-শিবিরের নেতা ছিলেন বলে আমরা দেখেছি। হরকাতুল জিহাদ বলুন, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম বলুন, যেটাই বলুন, সবগুলো মূল নেতৃত্ব এসেছে জামায়াত-শিবির থেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে, কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এতিম, ছোট ছোট শিশুদের রাস্তায় এনে বসিয়ে দিচ্ছেন। কোনো কোনো জায়গায় স্বার্থ হাসিলের জন্য এই ছোট ছোট এতিম মাদরাসায় নিরপরাধ ছাত্রদের সামনে দিচ্ছেন। তারাই ভিকটিম হচ্ছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এগুলোকে মনে করি নাশকতা, এগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। আপনাদের মাধ্যমে জানাচ্ছি, এগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য, নতুন আইন অনুযায়ী আমাদের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে যাতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। এই কাজ যদি বন্ধ না করে তাহলে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য, সুন্দরভাবে দেশ চলছে, সেটাকে ব্যাহত করার জন্য তাদের এই প্রচেষ্টা।’

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ মার্চ -২১ /এম.জে

- Advertisement -
- Advertisement -