[bangla_time] | [bangla_day] | [bangla_date] | [english_date] | [hijri_date]

‘আস্তিক ও নাস্তিক্যবাদের দর্শন’ গ্রন্থটির জবানবন্দিতে যা বললেন লেখক সৈয়দ রনো

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

বিশেষ প্রতিবেদক:

‘আস্তিক ও নাস্তিক্যবাদের দর্শন’ গ্রন্থটিতে ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনার বহিঃপ্রকাশ না ঘটিয়ে বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের আলোকে আস্তিক ও বিভিন্ন রেফারেন্সের মাধ্যমে নাস্তিকতার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। সত্যের উন্মোচনে সুন্দরের বর্ণনা, মানব কল্যাণের স্বরূপ উন্মোচনের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বিশ্লেষণের উপর গুরুত্বারোপ করাই হচ্ছে মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ধর্মীয় অপব্যাখ্যা এবং নাস্তিকদের স্বেচ্ছাচারি যুক্তি কিন্তু মানব জাতির কল্যাণকামীতার ধারক-বাহক নয়। ধর্মীয় সঠিক পথের দিক নির্দেশনা মানব সমাজের কল্যাণের ধারক-বাহক। গ্রন্থিত হয়েছে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, যৌক্তিকতার আলোকে বিশ্লেষণ, স্বাধীন চিন্তাশক্তির সাথে ধর্মীয় রীতিনীতি কতটুকু সাদৃশ্য কিংবা বৈসাদৃশ্যের প্রেক্ষিত। যুক্তি দিয়ে ধর্মীয় আদেশ-নিষেধ যেমন খন্ডনযোগ্য নয়, পাশাপাশি বল প্রয়োগ করেও তো সব মানুষকে রাতারাতি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের আদর্শে একীভূত করা সম্ভব নয়। ধর্মীয় আদর্শের মানবিকতায় মানুষ এবং সমাজ সঠিক পথ অন্বেষণে ব্যর্থ হলেই তো যুক্তি-তর্কের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নাস্তিকতার দিকে ধাপিত হয়। প্রেক্ষিত বিবেচনায় কেউ যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী না হয়ে সে যদি নাস্তিক হোন  এবং ইসলাম অবমাননাকর নাস্তিক হোন এবং ইসলাম অবমাননাকর অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বেলায় ইসলাম যেমন উদার ও মানবিক তদ্রুপ একজন নাস্তিকের ক্ষেত্রেও একই ব্যবহার প্রযোজ্য নয় কি?

কোনো ধর্মই কোনো ধর্মের প্রতিবন্ধক নয়, কারণ কোনো ধর্ম কোনো ধর্মের বিধি-বিধান নিয়ে সমালোচনা করে না, এ বিষয়টি নাস্তিক্যবাদের ধারক-বাহকদের একটু চিন্তা করা প্রয়োজন বলে উল্লেখিত গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে। এ গ্রন্থে যাবুর, তাওরাত, ইঞ্জিল, ত্রিপিটক, ভগবদ গীতা, বেদ, আল-কোরআন ও সহীহ হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আস্তিক ও নাস্তিক প্রাসঙ্গিক আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী কাজেই সে বিষয়টিও অধিক প্রাধান্যের দাবীদার।

ইসলাম ধর্মের আদেশ-নিষেধ (হারাম-হালাল, পালনীয়-বর্জনীয়) বিষয়ে যদি কারো দ্বিমত থাকে এবং তা যদি ভঙ্গুর যুক্তি উপস্থাপনের নামে তর্ক-বিতর্ক জুড়ে দেয়া হয়, সন্দেহের নিক্ষিপ্ত তীরে জর্জরিত করা হয়, তাহলে তাকে নিশ্চিতভাবে উগ্র নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আর যাই হোক উগ্রতার জায়গা ইসলাম ধর্মে নেই বলেই আমার জানা। ধর্ম পালনে ব্যক্তি নিজস্বতা রয়েছে, যারা মুক্ত চিন্তার চর্চা করেন তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার খর্ব করা নয়। অন্যের বিশ্বাসের ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়ার নাম ইসলাম নয় এবং অনুরূপভাবে তা নাস্তিকতাও নয়। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা নামাজ পড়বে এটা তাদের বিশ্বাসের সাথে ফরজ পালন। নাস্তিকদের পছন্দ না হলে পড়বে না কিন্তু নামাজরত মুসল্লিদের নিয়ে কটুক্তি করা সমোচিত নয় এবং নামাজ না পড়া নাস্তিকদের জোর করে নামাজ পড়ানো যেমন ইসলাম নয়, পাশাপাশি নামাজে বাঁধা দেয়াও সমোচিত নয় বলে আমার ব্যক্তি ধারণা।

- Advertisement -

-সৈয়দ রনো

কবি ও লেখক।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ মার্চ-২১/ দ.ম.দ

- Advertisement -
- Advertisement -