সীমান্তবাংলা.কম সহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক অর্ধশতাধিক নারী যৌন লালসার শিকার এবং ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ভোক্তভোগী নারীর অভিযোগসহ কল রেকর্ড ভাইরাল শীর্ষক সংবাদ আমার দৃৃৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ এবং জেলা ছাত্রলীগের নিকট যোগাযোগ মাধ্যম মোবাইল ফোনে অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিগত প্রায় ২ মাস যাবত কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ফেইক আইডিতে মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক যে কল্পকাহিনী সাজানো হয়েছে তা একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। মূলত আমি স্কুল জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ, লালন এবং পালন করে তৃণমূল তথা স্কুল ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্রলীগ করে আসছি। পরিশ্রম, সততা এবং ন্যায়নীতি আমার ছাত্ররাজনীতির বড় হাতিয়ার। পরিশ্রম, সততা,ন্যায়নীতি এবং আদর্শকে বড় হাতিয়ার হিসেবে আমার জীবনের প্রতিটি পর্যায় এবং আমার কর্মকান্ডে বাস্তবায়ন করে আসছি। বিগত ২০১৮ সালে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উখিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। তারপর থেকে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আমার ছাত্রলীগের আদর্শকে নস্যাৎ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে তথ্য প্রযুক্তি অবৈধ পন্থায় ব্যবহার করে আমার ফেইসবুকে আপলোড করা ব্যক্তিগত ছবি জয়েন্ট ও কিছু ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে অপপ্রচার চালাচ্ছে । “মাহফুজা খানম” নামে একটি ফেইক ফেইসবুক আইডিতে প্রতিদিন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে আমার প্রতিপক্ষরা ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে একটি মিশনে নেমেছে। এমনকি উক্ত ফেইসবুক আইডি থেকে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক”কে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে, ম্যানেজ করে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এমন অপপ্রচার চালিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি খুবই হাস্যকর এবং উক্ত মিথ্যা ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে আমি খুব বিব্রতবোধ করছি। এমনকি আমি নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের প্রথম বর্ধিত সভায় আমার বক্তব্যে স্পষ্ট ভাবে বলেছিলাম, আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ আপনারা চাইলে কাউন্সিলর এর মাধ্যমে সম্মেলনপূর্বক অথবা নতুন কমিটি করতে পারেন, আপনারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমি সেই সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিব। বর্ধিত সভায় স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার পরেও ফেইক আইডি থেকে অপপ্রচার চালিয়ে বিশেষ ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টাই মেতে উঠেছে একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র।তার অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে কল করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ করে ফাঁদে ফেলে আমার ছাত্র রাজীনীতিকে ধ্বংস করার নিমিত্তে মিশনের টার্গেট বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। বাস্তবিক অর্থে এসব কিছু অভিযোগ, বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ, অপপ্রচার ফেইক আইডি একটি চক্রের নির্দিষ্ট মিশন বাস্তবায়নের ছক।
আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন উজ্জীবিত সৈনিক। এসব অপপ্রচার ষড়যন্ত্র কে দূরে ঠেলে দিয়ে একদিন ইনশাআল্লাহ সত্যের জয় হবে। অন্ধকার কেটে শীঘ্রই আলোর দেখা মিলবে। এসব অপপ্রচার, মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ, ফেইক আইডির স্ট্যাটাস সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কল রেকর্ড ভাইরালে আমি মোটোও বিচলিত নয়। আমি জানি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত আল্লাহর , আমি যদি জীবনে কখনো কারো ক্ষতি করে থাকি তাহলে সেটা আল্লাহর তরফ থেকে আমার উপর পতিত হবে। আর আমি যদি অপরাধী হিসেবে প্রমানিত হয় তাহলে অবশ্যই আমি আমার সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ও আইনগত যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিব এবং মেনে নিতে বাধ্য। পাশাপাশি জাতির বিবেক সাংবাদিকদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ যাচাই-বাছাই পূর্বক বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করুন। কারো প্ররোচনায় ইচ্ছাকৃত ভাবে ষড়যন্ত্রপূর্বক আমার ছাত্র রাজীনিতিকে কলঙ্কিত করবেন না । এ ব্যাপারে আমার জেলার অভিভাবক , ছাত্রলীগের ভাই ও বোনেরা , প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি ।
প্রতিবাদকারী
ইব্রাহিম আজাদ
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
উখিয়া উপজেলা, কক্সবাজার।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে
- Advertisement -

