আজ রবিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৩ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টাঙ্গাইল মির্জাপুরের পাইকপাড়া গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা : আহত ৭

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

৫ নারী ও ২ শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

বিশেষ প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলাধীন মির্জাপুর থানার পাইকপাড়া গ্রামে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীনূর ইসলামের বাড়িতে দূর্বিত্বরা চড়াও হয়ে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় তার সন্তান ও নাতিরা অতর্কিত হামলার শিকার করা হয়। আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর) আনুমানিক সকাল ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ নারী ও ২ শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামুরকি মির্জাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রমনের শিকারে আহত ব্যক্তিরা হলেন মৃত মুক্তিযোদ্ধা নবীনূর ইসলামের স্ত্রী, কন্যা ও নাতিদ্বয়- পিয়ারা বেগম (৫৫), নীপা আক্তার (৩৫), নীহার আক্তার (৩৪), নাছিমা আক্তার (৩২), নীলা আক্তার (২০), সৈয়দ আল নাহিয়ান (১০), সৈয়দ আল নুমান (৭)।

আলোকিত প্রতিদিন এর বিশেষ প্রতিনিধিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হওয়া আহত ব্যক্তিরা জানান- ‘তারা (আহতরা) নিরীহ প্রকৃতির লোক বলে তাদের চাচা মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী, সন্তান ও ছেলের বউসহ আরো প্রায় অপরিচিত মুখ বাঁধা মাস্তানসাজি দশ/পনের জন মিলে আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা করে। আক্রমনকারীদের মধ্যে যাদের চেনা যায় তারা হলেন- বুলবুলি বেগম (৫৫), মো: কিরণ মিয়া (৩৮), মো: অপু মিয়া (২৮), কাজলী আক্তার (৩২), শাম্মী আক্তার (২৩)। তারা হামলা চালিয়ে প্রায় দশ ভরী স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেট এবং করোনা কালীন গচ্ছিত দুই লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় বলে তোদের এখানে থাকতে দেবো না। তোরা এই বাড়ি ছেড়ে চলে যা। তা না হলে জোর পূর্বক তোদের এখান থেকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। এমনকি মেরে লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি দিয়ে গেছে’। ভুক্তভোগীগণ আক্রমণকারীদের বাধা দিলে আক্রমণকারীরা লোহার রড, রাম দা, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে কারো মাথা, কান, হাত, মুখ, পা কেটে রক্তাক্ত হয়েছে। ভুক্তভোগীদের কেউ নিলা, ফুলা, জখম অবস্থায় হাসপাতালের বেডে ভর্তি আছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় থানার ওসি সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আলোকিত প্রতিদিনকে জানান- ‘নারী ও শিশুদের উপরে হামলার বিষয়টি মারাত্মক ঘৃণিত। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি’।

- Advertisement -

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে ভর্তি ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বলেন- ‘আমরা ইতোপূর্বেও মার খেয়ে থানায় জিডি করেছি এবং কোর্টে একাধিক মোকাদ্দমা আমাদের উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান রয়েছে। বর্তমানে এমন নৃশংস ঘটনার আলোকে আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছি। সংবাদ মাধ্যমে আমাদের (ভুক্তভোগীদের) ছবি প্রকাশ না করে বরং আক্রমণকারীদের ছবি প্রকাশের অনুরোধ জানাই’। কিন্তু সংবাদটি লেখার সময় আক্রমণকারীদের ছবি সংগ্রহ করতে না পারায় শুধু সংবাদটি পরিবেশন করা হলো।

 

আলোকিত প্রতিদিন/২৮ অক্টোবর ২০২০/জেডএন

- Advertisement -
- Advertisement -