সবুজ সরকার, টাঙ্গাইল : মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবিরা দীর্ঘদিন ধরে অলস সময় পার করছে। ফলে টাঙ্গাইলের নদী-নালা, খাল-বিলে মাছ শিকারিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ব্রিজ, কালভার্ট ও স্রোতের মুখে শিবজাল, ধর্মজাল নিয়ে ওঁৎ পেতে বসে আছেন মাছ শিকারিরা। অনেকে এ মাছ বিক্রী করে তাদের দৈনন্দিন চাহিদাও মেটাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ভারী বর্ষনে নদ-নদী প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় ছোট থেকে শুরু করে সব বয়সের লোক এ মাছ ধরায় ব্যস্ত।
এবারের বন্যায় টাঙ্গাইল জেলার প্রায় গ্রামের মানুষই পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার নদী-নালায় আগাম পানি আসায় কর্মজীবী মানুষের কাজকর্ম না থাকায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা গ্রামের কয়েকজনকে ধর্মজাল ও শিবজাল দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায়। বর্ষার পানিতে মাছ শিকারে উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দেখাও মিলছে। তাই উৎসব মূখর পরিবেশে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এলাকার তরুণ, যুবক, প্রবীন বয়স্করাও। অনেকে সখের বশবর্তী হয়েও মাছ শিকারে নেমেছেন। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, করোনায় মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস কমে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষ বর্ষার নতুন পানিতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছে। নদী এলাকার গ্রামগুলোতে জাল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে অনেকেই।
বিশেষ করে প্রতিদিন বিকেলে এসব জালে মাছ শিকার দেখতে এলাকার অনেক নারী-পুরুষ সেখানে ভিড় জমায়। ওই জায়গাগুলোতে মাছ শিকারের মহোৎসব থাকায় এখন অনেকটা বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে। ঘারিন্দা এলাকার মাছ শিকারি বিপ্লব মিয়া জানায়, করোনায় কামাই রুজি না থাকায় প্রতিদিন মাছ ধরি। নিজের চাহিদা মিটিয়ে কিছু মাছ বিক্রি করে সংসার ভালই চলছে।
এ বিষয়ে, জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতারা জানান, বর্ষা মৌসুমে মৎস্যজীবিরা মাছ শিকার করে সংসার চালাতে পারলেও শুষ্ক মৌসুমেও তাদের সহায়তা করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২৫ আগস্ট-২০২০/জেডএন