সুদাম চন্দ্র, নওগাঁ : নওগাঁ জেলার রাণী নগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আউশ ধানের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। ৩ বারের বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে এবার আউশ মৌসুমে ফলনও হয়েছে খুব ভালো। তাই ধানের এই দামের বাজার অব্যাহত থাকলে বন্যার ক্ষতি কৃষকরা অনেকটাই পুষে নিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আউশ মৌসুমে উপজেলার মোট ১ হাজার ৪শ ২৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক বিঘা জমির ধান বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে। তবুও উপজেলার এক ডালা, পারইল, বড়গাছা, সদর ইউনিয়নগুলো উচু হওয়ার কারণে বন্যার পানিতে এইসব এলাকার ধান বন্যায় তেমন আক্রান্ত হয়নি। এবার হেক্টর প্রতি ৩.২টন হারে আউশ ধানের ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪শ ৫০ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই কৃষকরা আউশ ধান কর্তন করে রোপা আমন ধান রোপণ করা শুরু করবেন। সম্প্রতি উপজেলা কৃষি বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে আউশ ধান কর্তন করেছে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ আউশ ধান ৯৫০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
একডালা গ্রামের কৃষক ফেরদৌস হোসেন, ভেটি গ্রামের আলীসহ অনেক কৃষকরাই জানান যে- আউশ ধান চাষে খরচ একবারেই নেই বললেই চলে। পানি সেচ দিতে হয় না, বালাইনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তাই আউশ ধান চাষ করে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হন। এছাড়াও বর্তমানে বাজারে ধানের দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমরা কৃষকরা আউশ ধানের ফলন ও দামে অনেক খুশি।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমন ধানে কিছুটা সেচ দিতে হলেও আউশ ধানে তেমন একটা পানি সেচ দিতে হয় না। এবার উপজেলার অধিকাংশ জমিতে ব্রিডধান ৪৮,৮২ জাতের ধান চাষ করায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছে। কারণ এই জাত উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের জাত। তবে বন্যার কারণে যেসব জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকরা এখন সেসব জমিতে আমন ধান রোপণ করতে শুরু করেছে। এছাড়াও আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় কৃষকদের নানা রকমের পরামর্শ প্রদানে কাজ করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/২৫ আগস্ট-২০২০/জেডএন